কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না জ্যাক ড্রেপারের। প্রথম বার খেলতে নেমে লড়ে হারলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা ইতালির ইয়ানিক সিনারের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় কোর্টের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বমিও করেন। তার পরেও লড়াই চালিয়ে যান। অন্য সেমিফাইনালে জিতলেন টেলর ফ্রিৎজ।
ইউএস ওপেনে টানা ১৫টি সেট জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন ড্রেপার। কিন্তু সিনারের বিরুদ্ধে তিনি হেরে গেলেন ৫-৭, ৬-৭ (৩-৭), ২-৬ সেটে। বিদায় নিলেন ইউএস ওপেন থেকে। ম্যাচের মাঝে ড্রেপারকে দেখা যায় বমি করতে। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিশ্রাম নেন তিনি। পরে খেলতে নেমে আবার বমি করেন ড্রেপার।
অসুস্থ হলেও সিনারকে সহজে ম্যাচ ছেড়ে দেননি। প্রথম দু’টি সেটে লড়াই চালিয়ে যান ড্রেপার। দ্বিতীয় সেটে টাইব্রেকারে গিয়ে হারেন। অসুস্থ ড্রেপারকে হারাতেও সিনারের লাগে তিন ঘণ্টা তিন মিনিট। তবে তৃতীয় সেটে ড্রেপারকে দাঁড়াতে দেননি সিনার। ম্যাচ শেষে তিনি ড্রেপারের প্রশংসাও করেন। সিনার বলেন, ‘আমরা দু’জনে একে অপরের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছিলাম। আমরা ভাল বন্ধু। মানসিক ভাবে আমি নিজেকে স্থির রাখার চেষ্টা করছিলাম। ওকে হারানো কঠিন। আমাদের সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ। ফাইনালে উঠে ভাল লাগছে।’ প্রথম কোনও ইতালিয়ান ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন।
অন্য সেমিফাইনালে জিতলেন ফ্রিৎজ। তিনি হারিয়ে দিলেন ফ্রান্সেস টিয়াফোকে। পাঁচ সেটে লড়াই শেষে ফ্রিৎজ জিতলেন ৪-৬, ৭-৫, ৪-৬, ৬-৪, ৬-১ সেটে। অ্যান্ডি রডিকের পর আবার আমেরিকান কোনও পুরুষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন। ২০০৯ সালে রডিক উইম্বলডনের ফাইনালে খেলেছিলেন। আমেরিকার পুরুষদের মধ্যে তিনিই শেষ টেনিস খেলোয়াড়, যিনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন। ২০০৩ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন রডিক।
ফ্রিৎজ এই মুহূর্তে বিশ্বের ১২ নম্বর। ফাইনালে সিনারের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাকে। ফাইনালে উঠে ফ্রিৎজ বলেন, ‘নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। জিততে না পারলে সারা জীবন আফসোস করতাম। ফাইনালেও আমি এই ভাবেই খেলতে চাই। নিজের সবটুকু দিয়ে খেলব।’
রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন সিনার ও ফ্রিৎজ।