দারুণ বোলিং করে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মাত্র ১১২ রানে আটকে ফেলেছিল নেদারল্যান্ডস। তবে স্বল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেরাও বিপদে পড়েছিল বেশ কয়েকবার। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও টিম প্রাঙ্গলের দৃঢ়তায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে চার উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ডাচরা।
ইনিংসের শুরুতে বেশ ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় আরব আমিরাত। দুই ওপেনার চিরাগ সুরি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম দারুণ শুরু করেন। তবে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় সুরি ১২ রানে ফিরে যান। ওয়াসিম কাসিফ দাউদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস লম্বা করার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৫৯ রানে দাউদ ১৫ রানে ফেরেন। ওয়াসিম এবার জুটি বাঁধেন ভিরিটয়া অরবিন্দের সাথে। দলের রান ৯১ হওয়ার পর ওয়াসিমকে আউট করেন ফ্রেড ক্লাসেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৪১ রান।
অরবিন্দের ২১ বলে ১৮ রান ছাড়া বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষদিকের ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় আমিরাতের ইনিংস থামে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১১ রানে।
স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। সাত বলে ১০ রানে ফিরে যান রিংকু সিং।
এরপর আরেক ওপেনার ম্যাকস ওডৌড ও ব্যাস ডি লিডে মিলে বেশ ভালোভাবেই রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দলীয় ৪১ রানে ম্যাকস ফিরলে ভাঙে তাদের ২৭ রানের জুটি।
চার নম্বরে নামা কলিন অ্যাকারমনকে নিয়া আবার নতুন জুটি গড়ায় মনোযোগ দেন লিডে। ১৮ রানের ব্যবধানে লিডে নিজে ফিরে গেলে ভাঙে সেই জুটি। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ডাচদের ব্যাটিং লাইনআপ।
১৭ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে হার চোখ রাঙাচ্ছিল নেদারল্যান্ডসকে। কিন্তু এরপর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও টিম ২৬ রানের জুটি গড়ে সাময়িক অনিশ্চয়তা দূর করেন।
জয় থেকে ৯ রানের দূরত্বে টিম ফিরলে আবারও চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস। যাওয়ার আগে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ১৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর লগান ব্যান ভিককে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন অধিনায়ক স্কট। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারের শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌছায় ডাচ বাহিনী।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে একইদিনে আরব আমিরাতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।