ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা তার সম্পর্কে বলেন, ‘অবিশ্বাস্য। ওকে ছাড়া প্রথম একাদশ ভাবতেই পারি না।’ স্পেনের কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে বলেছেন, ‘ও যেন একটা কম্পিউটার। সব কিছুতে নজর। এমন কিছু নেই যেটা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’
আরও অনেকে অনেক কিছুই বলেছেন। কিন্তু তিনি, রদ্রিগো হার্নান্দেস (রদ্রি), কোনও কিছুতেই বিশেষ পাত্তা দেন না। রোববার ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটা নিয়ে যখন গোটা স্পেন দল লাফাচ্ছে, তখনও তিনি অদ্ভুত শান্ত। মাঝে একবারই হাসিমুখে ট্রফি হাতে তুললেন। পোজ দিলেন। ব্যস, ওটুকুই। সতীর্থরা যখন বান্ধবী, স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ করছেন, তখন রদ্রি এককোণে দাঁড়িয়ে। গোটা পরিবেশটা উপভোগ করছেন। তার তো বান্ধবীও নেই।
গোটা ইউরোয় রদ্রি ৬টি ম্যাচে ৫২১ মিনিট খেলেছেন। একটি গোল করেছেন। দু’টি হলুদ কার্ড দেখে একটি ম্যাচে নিষিদ্ধ ছিলেন। একটি ম্যাচে খেলানো হয়নি। একটিও অ্যাসিস্ট নেই। এমন খেলোয়াড় প্রতিযোগিতার সেরা হন কী করে? পরিসংখ্যানই বলে দেবে এর উত্তর। রদ্রির নিখুঁত পাসিং ৯২.৮৪ শতাংশ। ৪৩৯টি পাসের মধ্যে ৪১১টিই ঠিকানা লেখা। ২৮টি লম্বা পাসের মধ্যে ২৬টিই পড়েছে সতীর্থের পায়ে। ৩৩ বার বল ছিনিয়ে নিয়েছেন প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে। এমন ফুটবলারকে কোচরা মাথায় তুলে রাখবেন না তো কী করবেন।
রদ্রি এমন একজন ফুটবলার, যিনি দরকারে দলকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন। আবার আক্রমণের সময় দলকে সাহায্যও করতে পারেন। পোশাকি নাম ‘সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডা’ বা ‘বক্স-টু-বক্স মিডফিল্ডার’। কিন্তু রদ্রির ভূমিকা তার থেকে অনেক বেশি। মাঝমাঠে থেকে রদ্রি গোটা খেলাটা পরিচালনা করেন।
ক্লাব এবং দেশের হয়ে শেষ ৮০টি ম্যাচের মাত্র একটিতে হেরেছেন রদ্রি।