• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরপারে ইংল্যান্ডের প্রথম বিদেশি কোচ এরিকসন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
পরপারে ইংল্যান্ডের প্রথম বিদেশি কোচ এরিকসন
গোরান এরিকসন। ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন শেন গোরান এরিকসন। মৃত্যুকালে ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম বিদেশি এই কোচের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

গত জানুয়ারিতে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। তার পর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সুইডিস কোচ এরিকসন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন তিনি।

এরিকসনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তার সুইডেনের এজেন্ট বো গুস্তাভসন। নিশ্চিত করেছেন তার ইংল্যান্ডের এজেন্ট ডিন এলড্রেজও। সোমবার সকালে সুইডেনের বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়েছে। শেষ সময় পাশে ছিলেন পরিবারের সদস্যেরা।

আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়া ক্লাব ফুটবলেও দীর্ঘ দিন সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন এরিকসন। বেনফিকা, রোমা, লাজিয়ো, ম্যানচেস্টার সিটি, লেস্টার সিটির মতো ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলোর দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংল্যান্ড ছাড়াও মেক্সিকো, আইভোরি কোস্ট এবং ফিলিপাইন জাতীয় দলের কোচ হিসাবে কাজও করেছেন। চার দশকের বেশি সময় বিভিন্ন জাতীয় ও ক্লাব দলের কোচিং করিয়েছেন এরিকসন।

১৯৪৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুইডেনের সুন শহরে জন্মগ্রহণ করেন এরিকসন। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ছিলেন রাইট ব্যাক। ১৯৭৩ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৭৭ সালে কোচিং শুরু করেছিলেন। আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের জন্য ২০০২ সালের বিশ্বকাপের বছরখানেক আগে একজন ভালো কোচের খোঁজ করছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। দেশীয় কোচদের ওপর সেই সময় ভরসা রাখতে পারছিলেন না তারা। ২০০১ সালে প্রথম বিদেশি কোচ হিসাবে সুইডেনের এরিকসনকে বেছে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তারা। কোচ হিসাবে উয়েফা কাপ, উয়েফা সুপার কাপ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তার। মিউনিখে জার্মানির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ৫-১ ব্যবধানে জয় এরিকসনের কোচিংজীবনের অন্যতম বড় সাফল্য হিসাবে ধরা হয়।

নিজের দেশ সুইডেনের জাতীয় দলের কোচ হিসাবে কখনও কাজ করেননি এরিকসন। একটা সময় ইউরোপের ফুটবল কোচদের মধ্যে তাকে অন্যতম সেরা বলে মনে করা হত। সব মিলিয়ে ১৮টি খেতাব জিতেছেন কোচ হিসাবে।

Link copied!