ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ক্যাচ মিসের মহড়ায় সুবিধা পেল ইংল্যান্ড। দলের ব্যাটার হ্যারি ব্রুক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। আর তাতে ভর করে লিড পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে সফরকারী ইংল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ৬টি ক্যাচ ফেলেছেন কিউই ফিল্ডারা। অধিনায়ক টম ল্যাথাম একাই ৩টি ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন। সারা দিনে ব্রুকের ক্যাচই পড়েছে ৪ বার। পরে তা কাজে লাগিয়ে ১৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ব্রুক তার এই ইনিংসে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩১৯ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। কিউইদের চেয়ে তারা পিছিয়ে মাত্র ২৯ রানে।
অথচ দিনের শুরুটা মোটেই ইংল্যান্ডের পক্ষে ছিল না। স্বাগতিক বোলারদের তোপে ৭০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। সেখান থেকে ব্রুক ও ওলি পোপ মিলে ১৫১ রানের জুটি গড়েন। তিন থেকে ছয়ে নম্বরে নামা পোপ ৭৭ রান করেন। সাত টেস্ট ইনিংসে এটাই তার সর্বোচ্চ স্কোর। টিম সাউদির বলে গালিতে থাকা গ্লেন ফিলিপস উড়ন্ত অবস্থায় দারুণ ক্যাচ লুফে নেন।
দিনের শেষে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। নিজের জন্মশহরে দলের প্রয়োজনের সময় ব্রুকের সঙ্গে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। যদিও ব্যক্তিগত ৩০ রানে তার ক্যাচ ফেলে দেন ল্যাথাম। ব্রুক নিজে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ব্যক্তিগত ১৮, ৪১, ৭০ এবং ১০৬ রানে। প্রথমবার যখন গালিতে ক্যাচ দেন তিনি, সেখানে থাকা ফিলিপস সেটি ধরতে পারলে ৭৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলতো ইংল্যান্ড। পরে অভিষিক্ত নাথান স্মিথের বলে স্লিপে ক্যাচ ফেলেন ল্যাথাম এবং ফিলিপসের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ মিস করেন ডেভন কনওয়ে।
সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে যান ব্রুক। এজন্য মাত্র ৩৬ ইনিংস খেলেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের জার্সিতে তার চেয়ে দ্রুততম সময়ে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাবেক ব্যাটার হারবার্ট সাটক্লিফ। ব্রুক আরও এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে তার ব্যাটিং গড় এখন ৯৩। তার উপরে আছেন অজি কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান (১০২.৮)।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।