পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলবেন বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জেমস ভিন্স। অন্য দেশে যেকোনও প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের বোর্ডের কাছ থেকে এনওসি অর্থাৎ নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি এনওসি প্রদানের পলিসি পরিবর্তন করেছে ইসিবি। নতুন নিয়মের ফলে পিএসএলে খেলা নিয়ে সম্যসায় ছিলেন ভিন্স। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত তার।
হ্যাম্পশায়ারকে গত ৯ মৌসুমে নেতৃত্ব দেওয়া ভিন্সকে ভবিষ্যতে শুধু টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে। ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি বুধবার বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
সোমবার পিএসএল ড্রাফটের আগে করাচি কিংস ৩৩ বছর বয়সী ভিন্সকে রিটেন করেছিল। গত বছরের নভেম্বরে ইসিবি জানিয়েছিল যে, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া মৌসুম চলার সময় আইপিএল ছাড়া অন্য বিদেশি টুর্নামেন্টগুলি খেলার ক্ষেত্রে এনওসি দেওয়া হবে না। বোর্ডের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ভিন্স-সহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটার।
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আয়োজিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এই কারণে এ বছর পিএসএল হবে এপ্রিল-মে মাসে। সেই সময় আবার ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ চলবে। ফলে কাউন্টি অথবা পিএসএলের মধ্যে ভিন্সকে যেকোনও একটি প্রতিযোগিতাকে বেছে নিতে হত। কারণ, হ্যাম্পশায়ারের সঙ্গে এই ইংরেজ ব্যাটসম্যানের ৩ বছরের চুক্তি ছিল।
ভিন্স বলেন, ‘আমি হ্যাম্পশায়ারকে ভালোবাসি। বিগত ১৬ বছর ধরে এই ক্লাবই আমার পরিবার ও বাড়ি ছিল। তাই এখনও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে যেতে চাই। আশা করব, প্রতিযোগিতায় (টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট) আমরা আরও বেশি সাফল্য পাব। ক্যারিয়ারে আমি এখন যেই পর্যায়ে রয়েছি সেখানে দাঁড়িয়ে আমাকে আমার পরিবারের জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো হবে সেটাও ভাবতে হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভিন্সের সাউদাম্পটনের বাড়িতে গত বছর ২ বার দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। এরপর তিনি পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আইএল টি-টোয়েন্টিতে গালফ জায়ান্টসের হয়ে খেলছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর একটি কঠিন সময়ের মধ্যে আমাকে সমর্থন করার জন্য এবং আমাকে পরবর্তী পদক্ষেপটি গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আমি ইউটিলিটা বউলের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন এই ভিন্স।