বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মিশনটা শুরু হয়েছে বড় পরাজয় দিয়ে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনীয় ম্যাচে গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হারে তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে জস বাটলারের দল। সেই ম্যাচের আগে আউট ফিল্ড নিয়ে বাড়তি সতর্ক ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
আপনি যদি রঙ্গিন চশমা পড়েন তাহলে পুরো দুনিয়াটা রঙ্গিন লাগবে। কিন্ত যখন চশমাটা খুলবেন তখন দেখবেন অন্যরকম এক চিত্র। ধর্মশালার মাঠটাও তেমন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কত সুন্দর নয়নাভিরাম এক মাঠ। স্টেডিয়ামটাও বেশ সাজানো-গোছানো। চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা চোখে পড়ার মতো দৃশ্য। অথচ এতসব আড়াল করে আলোচনায় কেবল আউটফিল্ড। যেখানে বালুতে ভরা মাঠ। অনেক সাবেক ক্রিকেটাররা স্কুল মাঠের সঙ্গে তুলনা করেছেন ধর্মশালার এই মাঠকে।
সংবাদ সম্মেলনে এসে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকেও উত্তর দিতে হয়েছে ধর্মশালার মাঠ নিয়ে। বাটলার বলেন, ” আউটফিল্ড নিয়ে উদ্বেগ আছে। আমার মতে, এটি বাজে। এজন্য আমরা কথা বলেছি। মাঠে ডাইভ দিতে সতর্ক থাকতে হবে, ফিল্ডিংয়ে বাড়তি নজর দিতে হবে। দলগত লড়াইয়ে আমরা সব সময়ই চাইবো ডাইভ দিয়ে এক রান বাঁচাতে। কিন্তু এখানকার আউটফিল্ড ডাইভ দেওয়ার জন্য আদর্শ নয় মোটেও। এখন অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। স্বভাবতই আপনি ফিল্ডিংয়ে নিজের সেরাটা উজার করে দিতে চাইবেন, ডাইভ দিয়ে রান বাঁচাতে চাইবেন। সত্যি বলতে এটা মাঠে সবাই করতে চায়। এজন্য মাঠ দুই দলের জন্যই সমান থাকবে। আশা করছি দুই দলের কেউই অপ্রত্যাশিত ইনজুরিতে পড়বে না।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে মুজিব উর রহমান বড় বাঁচাই বেঁচে গিয়েছিলেন। চার বাঁচাতে ডাইভ দিতে গিয়ে তার পা-ই ভেঙে যাওয়ার দশা হয়েছিল। যদিও অল্পতেই বেঁচেছেন তিনি। সেই দৃশ্য কি ভয় ধরিয়েছে ইংল্যান্ডের কাছেও? বাটলার বলছেন, ইনজুরি হতে পারে যেকোনো জায়গায়ই।
ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, “ইনজুরি যে কোনো সময়ে, যে কোনো আউটফিল্ডে হতে পারে। এজন্য সব সময়ই আপনাকে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দেশের হয়ে খেলতে নেমে আপনি সব সময়েই চাইবেন একটি রান বাঁচাতে, মাঠে সেই আত্মবিশ্বাস দেখাতে। ”
এ সময় বাটলার আরও যোগ করেন, “কিন্তু এখানকার পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। যেটা হওয়া উচিত ছিল না। এটা দুই দলের জন্যই সমান। উইকেট দারুণ। আমরা মাঠে নেমে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য ক্ষুধার্ত। এজন্য মাঠ নিয়ে আমরা কোনো অজুহাত দিতে চাই না। নিজেদের স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। ”
এই ম্যাচেও ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলবেন না বেন স্টোকস। সংবাদ সম্মেলনে বাটলার বলেন, “সম্ভবত না, সেটা মনে হচ্ছে না। ভালো লাগছে যে সে নেটে ফিরে এসেছে এবং ফিটনেস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্তু আগামীকাল সম্ভবত খেলবে না।”
এর আগে, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান যে মন্থর পিচে খেলেছে, সে উইকেটে এ ম্যাচটি হবে না। ধর্মশালার উইকেট যেহেতু ঐতিহাসিকভাবে পেসারবান্ধব, তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে অতিরিক্ত আরও একজন সিমার খেলাতে পারে ইংল্যান্ড। স্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলীর জায়গায় দেখা যেতে পারে পেসার রিস টপলিকে। বাটলারের কথায়ও রইল তেমন ইঙ্গিত। বাটলার বলেন, “এটা অবশ্যই একটা বিকল্প। উইকেটে পেস ও বাউন্স থাকতে পারে।”