গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। আগের ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ওয়েলসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ড্র করেই মাঠ ছেড়েছে দলটি। তাতেই গোলশূন্য ড্র হলো মর্যাদার এই লড়াই।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) আল বায়াত স্টেডিয়ামে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ইংল্যান্ডের দখলে ছিল বল। ৫৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রেখেছিল হ্যারি কেন-হ্যারি মাগুয়েররা। বল নিজেদের দখলে বেশি রাখলেও শট নেওয়ায় অবশ্য এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রই।
প্রতিপক্ষের জালে ৮ শট নিয়ে ৩ টি লক্ষ্যে রেখেছিল ইংল্যান্ড। বিপরীতে ১০ শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরিসংখ্যানের হিসেবে মনে হবে একপেশে হয়ে দুই দলের লড়াই। ঠিক তা নয়, প্রতি মুহূর্তেই ছড়িয়ে উত্তেজনা।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইটা সবসময়ই হয় মর্যাদার। কে বড়, সেটা প্রমাণই হয়ে দাঁড়ায় মুখ্য লড়াই। বিশ্বকাপের মঞ্চ হলে তো কথাই নাই। বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দলের তিন লড়াইয়ে একটি বারও জয়ের স্বাদ পেল না ইংল্যান্ড। ১৯৫০ সালে হেরেছিল মার্কিনীদের কাছে। ২০১০ সালে করেছিল ড্র। ২০২২ সালেও একই ফলাফল। বদলাতে চাইলেও বদলালো না ইতিহাস।
এই ড্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথ অনেকটাই রূদ্ধ হয়ে এসেছে। দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা ইরান ঘুরে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। ওয়েলসকে তারা হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
এক হার ও ড্রয়ে টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ খেলা ওয়েলসের অবস্থান গ্রুপে সবার নীচে। বিশ্বকাপ থেকে তাদের ছিটকে যাওয়াটা একরকম নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায়। এদিকে গ্রুপের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৪ ও দুইয়ে থাকা ইরানের অর্জন ৩ পয়েন্ট।
গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে ইরানের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও ইংল্যান্ড নিজ নিজ ম্যাচে জিতলে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে কারও ওপর অপেক্ষা করতে হবে না দল দুইটিকে।