শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ব্যাটিংটা ভালো হলো না পাকিস্তানের। ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান করতেই হিমশিম খেয়েছে তারা। ব্যাট হাতে কোনো পাকিস্তানি ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
অন্যদিকে দারুণ বোলিং করে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৭ রানেই আটকে রেখেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারেন। এছাড়া জোড়া উইকেট নিয়েছেন আদিল রাশিদ ও ক্রিস জর্ডান।
রোববার (১৩ নভেম্বর) টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই নো বল করেন ইংলিশ বোলার বেন স্টোকস। এরপরের বল আবারও ওয়াইড দিলে বিনা বলেই পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় দুই রান।
যদিও ফ্রি হিট হওয়া প্রথম বৈধ বলেও ব্যাট থেকে কোনো রান আদায় করতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইনিংসের চতুর্থ বলেই রিজওয়ানকে রান আউট করার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
তবে লং অফ থেকে মারা ইংলিশ ফিল্ডার জর্ডানের থ্রো অল্পের জন্য মিস হলে সে যাত্রায় রক্ষা পান রিজওয়ান। প্রথম ওভার থেকে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে জমা হয় আট রান। ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম তিন ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
তবে এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই প্রথম বলেই ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফাইনালে প্রথম বাউন্ডারি মারিন রিজওয়ান। এর পরের ওভারেই রিজওয়ানকে বোল্ড করে ফাইনালে ইংলিশদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন বাঁহাতি পেসার স্যাম কারেন।
তিন নম্বরে পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করেছেন মোহাম্মদ হ্যারিস। তবে ইংলিশ পেসারদের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পান ওকসের বিপক্ষে। এক উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লে শেষে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৩৬ রান।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয় ৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই পাকিস্তানি ব্যাটার হ্যারিসকে বেন স্টোকসের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি।
ইংলিশ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইনিংসের প্রথমার্ধে রান তুলতে যথেষ্ট হিমশিম খাচ্ছিল পাকিস্তানি ব্যাটাররা। দুই উইকেট হারিয়ে প্রথম ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬৮ রান।
এরপর রানের গতি বাড়ানোয় মনোযোগ দেন পাকিস্তানি ব্যাটার শান মাসুদ। ইংলিশ পেসার বেন স্টোকসের করা ইনিংসের ১১তম ওভার থেকে তুলে ১৬ রান। তবে অন্যপ্রান্তে শান মাসুদকে সঙ্গ দেওয়ার আগেই বাবর আজমকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় স্বীকার করেন ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ।
পাঁচ নম্বরে নামা ইফতিকার আহমেদও দ্রুত বিদায় নেন। ১৩তম ওভারে তাকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন বেন স্টোকস। ১৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল চার উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।
একপ্রান্তে উইকেটে গেলেও অন্যপ্রান্তে রান বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন শান মাসুদ। তবে ব্যক্তিগত ২৮ বলে ৩৮ রানে ইনিংসের ১৭তম ওভারে তাকে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ পেসার শান মাসুদ।
ছয় নম্বরে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন শাদাব খান। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ১৮তম ওভারে ১৪ বলে ২০ রান করে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে শেষ ভরসা মোহাম্মদ নওয়াজও ফিরে গেলে বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে যায় পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাবর আজমের দল।