এবারের বিশ্বকাপে সহআয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবারের মতো দলটি উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। স্বপ্নও দেখছিল স্বাগতিকরা ফাইনাল খেলার। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল। তাদের হৃদয় ভেঙে ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে ইংলিশরা ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বরে থাকা ইংল্যান্ড তিনবারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্টের পাশাপাশি ইউরোপীয় ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও। তুলনায় ১০ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জায়গা করেছিল এবারই প্রথম। তবে আজকের ম্যাচে স্যাম কারদের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে ছিল গ্যালারির বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি।
সিডনিতে দুই দলের শুরুটা ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। প্রথম পনের মিনিটে বলার মতো সুযোগ করতে পারেনি কেউই। ১৮ মিনিটে ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইলা টনির শট সাইড নেটে না লাগলে হয়ত এগিয়ে যেতে পারত ইংল্যান্ড।
গ্রথম গোলের দেখা পায় ইংল্যান্ড। ৩৬ মিনিটে ত্রি-লায়ন্সদের হয়ে টুনের প্রথম গোলটি করে স্টেডিয়ামে উপস্থিত স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দেয়।
বিরতির পর থেকেই অবশ্য ইংলিশ রক্ষণে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে স্যাম কার-ক্যাটরিয়া গোরিরা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেছিল অজিরা। তাতে সফলতা আসেনি খুব একটা।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়া পরে ম্যাচে ফিরেছে। তাও অধিনায়ক স্যাম কারের কল্যাণে। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে এককভাবেই এগিয়ে গিয়েছেন। এরপর ডিবক্সের বাইরে থেকে করেছেন টুর্নামেন্টের অন্যতম দর্শনীয় গোল। ৬৩ মিনিটের সেই গোল আশা দেখাচ্ছিল স্বাগতিকদের।
কিন্তু, শেষ বিশ মিনিটেই যেন নিজেদের বদলে ফেলে ইংলিশ মেয়েরা। ১৫ মিনিটে দুই গোল করে অজিদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় তারা।
যার শুরুটা ম্যাচের ৭১ মিনিটে করেন ফরোয়ার্ড লরেন হেম্প।
স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন ৮৬তম মিনিটে ফরোয়ার্ড এলেসিয়া রুসো। আর এই গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের।
গত দুই আসরে সেমি-ফাইনালে হেরেছিল ইংল্যান্ড। অবশেষে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হলো গত বছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলটির। ২০ আগস্ট ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন। এই দুদলই প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলছে নারী বিশ্বকাপে। তাই ২০ আগস্ট বিশ্বফুটবল দেখতে যাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন।