ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন নিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হয় তাদের হার দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়ার পর টানা ৫ ম্যাচ হারের কারণে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পরে যায় ইংলিশরা। তবে এবারের আসের নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে বাবর আজমের দল এই ম্যাচ হেরে পাঁচে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বকাপে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান তোলে। জবাবে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের টপ অর্ডার দ্রুত ভেঙে পড়লে ৪৩.৩ ওভার শেষে ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় বাবরের দল।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টস হেরে পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডেভিড উইলির বলে এলবিডব্লু হয়ে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। আরাক ওপেনার ফখর জামানও দ্রুত বিদায় নেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ১ রান করে ফেরেন ফখর। ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। দলকে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলার দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম।
এই অভিজ্ঞ জুটি থেকে আসে ৬৮ বলে ৫১ রান। এই জুটি ভাঙে অধিনায়ক ৪৫ বলে ৬ চারে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে। বাবরের বিদায়ের পর রিজওয়ানও ফিরে গেছেন ৩৬ রান করে। এরপর সৌদ শাকিল স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ করেন আগ সালমানের সঙ্গে। শাকিল ২৯ রানে বিদায় নেন। শাকিলের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে গেছেন ইফতেখার আহমেদ ও শাদাব খান।
এরপর আগা সালমানের সঙ্গে শাহীন শাহ আফ্রিদি যোগ করেন ৩০ বলে ৩৬ রান। এই জুটি ভাঙে সালমানের বিদায়ে। এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৬ চারে ও ১ ছক্কায় ৫১ রান। এরপর পাকিস্তান শুধুই গুটিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইংলিশ বোলাররা। কিন্তু দশম উইকেটে হারিস রউফ ও মোহাম্মাদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩৫ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙে ৩৫ রান রউফ বিদায় নিলে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ৯৩ রানের হার নিশ্চিত হয়। ইংল্যান্ডের হয়ে উইলি ৫৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে,শনিবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ইডেন গার্ডেনে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভিদ মালান ও জনি বেয়াস্টো দারুণ শুরু করেন। ইংলিশদের ওপেনিং জুটিতে আসে ৮২ রান। এই জুটি ভাঙে ইফতেখার আহমেদের বলে মালান ৩১ রানে ফিরলে। এই ওপেনারের বিদায়ের পর ৬১ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও বেন স্টোকস। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা স্টোকস পাকিস্তানের সঙ্গেও ছিলেন সেই লক্ষ্যেই। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির রিভার্স সুইং করা ইয়র্কারে স্টাম্প হারাতে হয় তাকে। ৭৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার। রুটও উইকেটও যায় শাহিনের ঝুলিতে। ৭২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর হারি ব্রুক ৩০ ও অধিনায়ক জস বাটলারের ২৭ রানের ক্যামিতে তিনশো পার করে থ্রি লায়ন্সরা। এই দুই ব্যাটারের পরে ডেভিড উইলি ব্যক্তিগত ইনিংস দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। তাই তো শেষপর্যন্ত ৫০ ওভার ব্যাট করে ইংলিশরা স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রান জড়ো করে। পাকিস্তানের হয়ে ৬৪ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন হারিস রউফ।
