টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ লাভের আশায় তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মোকবিলায় মাঠে নামে স্বাগতিক ভারত। তবে পরাজিত হওয়ায় এখনই সিরিজ তো হলো না তাদের। অপেক্ষা বাড়ল।
বেন ডাকেট ও লিয়াম লিভিংস্টোনের বিস্ফোরক দুটি ইনিংসের পরও, ভারুন চক্রবর্তীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুব বড় হলো না ইংল্যান্ডের সংগ্রহ।
রাজকোটে মঙ্গলবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৬ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড। ১৭২ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারতকে ১৪৬ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটিতে জয় পায় ভারত।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুতে পথ দেখিয়েছেন ডাকেট। মাঝের সময়টায় ইংলিশদের টেনেছেন লিভিংস্টোন। দারুণ বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের ইনিংস অনেক বড় হতে দেননি ভারুন। দল হারলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন এই স্পিনার।
রান তাড়ায় ভারতকে পথ দেখাতে পারেননি কেউ। কারো ব্যাট থেকে আসেনি বড় ইনিংস। জেমি ওভারটন ও আদিল রাশিদের চমৎকার বোলিংয়ে দারুণ জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিল সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড। তবে, ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার ডাকেট। বাটলারকে নিয়ে গড়ে তোলেন ৪৫ বল স্থায়ী ৭৬ রানের জুটি।
ইংল্যান্ড অধিনায়ককে কট বিহাইন্ড করে জুটি ভাঙেন ভারুন, শুরু করেন উইকেট শিকার। পঞ্চাশ ছুঁয়ে বিদায় নেন ডাকেট। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও সাত চারে বাঁহাতি এই ওপেনার করেন ৫১ রান।
এরপর প্রায় একার চেষ্টায় দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন লিভিংস্টোন। পাঁচ ছক্কা ও এক চারে তিনি ২৪ বলে করেন ৪৩ রান।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট নেওয়ার পথে জেমি স্মিথ, জেমি ওভারটন, ব্রাইডন কার্স ও জফ্রা আর্চারকে দুই অঙ্কে যেতে দেননি ভারুন। ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন এই স্পিনার।
অষ্টাদশ ওভারের প্রথম বলে লিভিংস্টোনের বিদায়ের পর দশম উইকেটে মূল্যবান ২৪ রান যোগ করেন রাশিদ ও মার্ক উড। দুই জনই করেন ১০ রান করে।
রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারে সাঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন আর্চার। ১৪ বলে ২৪ রানে থামেন আভিশেক শার্মা। সূর্যকুমার যাদবও ব্যর্থ হন।
তিলাক ভার্মা থামেন একটি করে ছক্কা ও চার মেরে। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তিলাকের উইকেট নেন স্পিনার রাশিদ। পান্ডিয়া ৩৫ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে করেন ৪০ রান।
২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার ওভারটন। দুটি করে উইকেট নেন কার্স ও আর্চার।
আগামী শুক্রবার পুনেতে হবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।