রাউন্ড অফ সিক্সটিনে নাইজেরিয়াকে টাই-ব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত সময় ম্যাচের ফলাফল ছিলো গোলশূণ্য। দিনের অন্যম্যাচে, অস্ট্রেলিয়া ২-০ গোলে হারিয়েছে ডেনমার্ককে।
র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধানে নাইজেরিয়ার চেয়ে ৩৬ ধাপ উপরে ছিলো ইংল্যান্ড। তবে মাঠের খেলায় দেখা মিলেছে উল্টো চিত্র। ম্যাচের শুরু থেকে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রমণ চালিয়ে গেছে আফ্রিকান দলটি। পুরো ম্যাচে ২০টি শট নেন সুপার ঈগলরা। যার দুটি ছিলো অনটার্গেট। উল্টো থ্রি-লায়ন্সরা নিয়েছে ১২টি শট। যার চারটি ছিলো অনটার্গেট। ৯০ মিনিটের খেলায়ই নাইজেরিয়ার দুটি শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, একটি অ্যাশলি প্লাম্পটরের, আরেকটি উচেনা কানুর।
ম্যাচের ৮৪ মিনিটে লরেন জেমস লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ইংল্যান্ড। ফলে আক্রমণের চেয়ে ইংল্যান্ডের মেয়েদের রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দিতে হয়েছে।
গোলশূন্য ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টার খেলায়ও কোনো দল গোল করতে পারেনি। এর পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ইংল্যান্ডের হয়ে শুরুর শর্ট মিস করেন জর্জিয়া স্টানওয়ের। তবে প্রথম শট মিসের কারণে পরের দিকে আর ভুগতে হয়নি। কারণ, নাইজেরিয়া তাদের প্রথম দুই শট মিস করলেও ইংল্যান্ডের আর কেউ নিশানা হারাননি।
এদিকে, দিনের অপর ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙ্গিয়ে রেখেছে বিশ্বকাপের সহআয়োজক অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন স্যাম কার। অথচ কাফ ইনজুরিতে শেষ ষোলোর আগ পর্যন্ত দর্শকই থেকেছেন তিনি। সোমবার তার মাঠে নামার দিনটিতে ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়া দুই অর্ধে একটি করে গোল করেছে। ২৯ মিনিটে প্রথম গোলটি করেছেন ফোর্ড। ৭০ মিনিটে স্কোর ২-০ করেছেন রাসো। অস্ট্রেলিয়া এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে তিনবার খেলেছে। তার পর অবশ্য বেশি দূর যাওয়ার কীর্তি দেখাতে পারেনি তারা।