ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে গেলেন এবাদত হোসাইন। বুধবার (৩০ আগস্ট) ইংল্যান্ডের ক্রুমওয়েল হাসপাতালে এই পেসারের হাঁটুর অস্ত্রোপাচার হবে। অপারেশনের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে এবাদতের সময় লাগবে তিন মাস। আর বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আছে ১ মাস। তাই এই পেসারের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে তাকে ছাড়াই যেতে হবে ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে।
২৯ বছর বয়সী এবাদত অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ইনজুরিতে ভুগছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে বল করার সময় এবাদত বাঁ পায়ে চোট পান। এরপর আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দল থেকে বাদ পড়েন এই টাইগার পেসার।
ইনজুরি থাকার পরও এবাদতকে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের ১৭ সদস্যের স্কোয়াডে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার কারণে তার জায়গায় এশিয়া কাপের দলে অর্ন্তভুক্ত করেন তানজিম হাসানকে।
মাত্র ১২ ওয়ানডে খেলা এবাদত টাইগারদের পেস ইউনিটের অপরিহার্য সদস্য। ২০২২ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অভিষেক হয় সেলুট ম্যানের। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট শিকার করেন সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে। এরপর সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ১১ ইনিংসে বল করে ২২টি উইকেট নিয়েছেন এবাদত। এই পেসার দলের সঙ্গে না থাকাটা টাইগারদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। সেটা এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বলে গিয়েছেন কোচ এবং দলের অধিনায়ক।