ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জোয়ারে টেস্ট ক্রিকেট তার আকর্ষণ হারাতে চলেছে। কিন্তু মাঝে-মধ্যে টেস্ট ম্যাচ যে সব ফরম্যাটকে ছাপিয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট। যেখানে চরম নাটকীয়তা আর শ্বাসরুদ্ধ অবস্থার মধ্য দিয়ে শেষ হলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এতে শেষের নাটকে নায়ক হলেন রাবাদা ৩১ রান করে।
আগের দিনই আভাস ছিল রোমাঞ্চের দেখা মিলবে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে। মোহাম্মদ আব্বাসের বোলিংয়ে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেও এলো পাকিস্তান। তাতে দেখতে থাকে জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন কাগিসো রাবাদা-মার্কো ইয়ানসেন। তাদের দৃঢ়তায় ২ উইকেটের নাটকীয় জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লেখাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্টের প্রথম তিন দিনে দুই দলের মোট ৩৩টি উইকেটের পতন ঘটে। বাকি দুই দিনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে ১২১ রান করতে হতো। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে মনে হতে পারে দুই দিনে প্রায় ১৮০ ওভারে ১২১ রান করা খুব সহজ। কিন্তু শনিবার তৃতীয় দিনের খেলাশেষে স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে মূল্যবান ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান করে।
রোববার চতুর্থ দিনে নাটক চরম আকার ধারণ করে। দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় ৬২ রানে মোহাম্মাদ আব্বাস এই ইনিংসে তার তৃতীয় উইকেট দখল করেন মার্করামকে ফিরিয়ে দিয়ে। মার্করাম ৩৭ রান করেন। দলীয় ৯৬ রানে অধিনায়ক টেমবা বেভুমা ৪০ রান করে আউট হন। তার উইকেটও নেন আব্বাস। এরপর দলীয় ৯৯ রানে ভেরেইনে (২) আউট হন নাসিম শাহের বলে। দলের অর কোনো রান যোগ না হতে বেডিংহাম (১৪) এবং করবিন বোস (০) আউট হন। এই দুটি উইকেটও পান আব্বাস। যা এই ইনিংসে তার ষষ্ঠ উইকেট। প্রথম সেশনে ৮ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
পাকিস্তান তাদের দুই ইনিংসে করে ২১১ ও ২৩৭ রান। দলের দ্বিতীয় ইনিংসে সাউদ শাকিল ৮৪ রানের চমৎকার এক স্কোর করেন। আর বাবর আজম করেন ৫০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার জানসেন একাই ৬টি উইকেট লাভ করেন। রাবাদা নেন ২টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৩০১ রান করে।
পাকিস্তানের এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরুটা হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ০-২ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে। এরপর ওয়ানডে সিরিজে সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।