বাংলাদেশের ম্যাচ চলাকালে ডাগ-আউটের বাইরে সবচেয়ে বেশি ছুটাছুটি করতে দেখা যায় একটা মানুষকে। টাইগাররা ফিল্ডিংয়ে থাকলে সেই মানুষটা বাউন্ডারি লাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কখনো পানির বোতল হাতে আবার কখনো তোয়ালে হাতে তাকে দেখা যায়। এই মানুষটা আর কেউ না বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানরা মাঠে থাকলে ডাগ-আউটে তাকে সবচেয়ে বেশি টেনশন করতে দেখা যায়। ভিন দেশি হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নিবেদিত প্রাণ ডোনাল্ডের।
যার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই দক্ষিণ আফ্রিকান টাইগার ক্রিকেটার থেকে সমর্থকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। কিন্তু এবার তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। যদিও অভিমান নিয়েই চাকরি ছাড়ছেন ডোনাল্ড। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, টিম মিটিংয়ের সময় কারো কথায় আঘাত পাওয়ায় তার এমন সিদ্ধান্ত।
এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে। জবাবে হাথুরু বলেন, “আমি জানি না আপনি এটা কোথায় পেলেন। আমি যতটুকু জানি, কয়েকজন কোচের বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে করা ‘টাইমড আউট নিয়ে’ নিজের মন্তব্য করেন ডোনাল্ড। সাকিব আল হাসানদের টাইমড আউটের আবেদনটি পছন্দ হয়নি এই বোলিং কোচের। এ নিয়ে পরে তাকে বিসিবি থেকে শোকজ করার কথাও সামনে আসে। এ ব্যাপারে ডোনাল্ডের সঙ্গে কি কোনো আলাপ হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে হাথুরু বলেন, “আমার তার সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত আলাপ হয়নি।”
এদিন ডোনাল্ডের কাজের প্রশংসা করে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, “আমরা আসলে ম্যাচের পর তার সঙ্গে কথা বলতাম। সে অসাধারণ কাজ করেছে। আমাদের পেসারদের সাফল্য ও সবমিলিয়ে দলের সাফল্যেও অবদান রেখেছে। কারণ তার অনেক অভিজ্ঞতা ও খুব ভালো ব্যক্তিত্ব দলের ভেতরেও এসেছে। সে আমাদের ও কোচ হিসেবে আমার জন্য দারুণ সংযোজন। অভিজ্ঞতা ও তার সঙ্গে কাজ করার জন্য- হ্যাঁ, তাকে মিস করবো।”