শেষ বলে ঢাকা ক্যাপিটালসের মোস্তাফিজুর রহমানকে আউট করতে না পারায় ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ। ফলে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েন তাসকিন। আর যৌথভাবে গড়েন টি-টোয়েন্টি বিশ্বরেকর্ড।
আলাউদ্দিন বাবু ও মুকিদুল ইসলামকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় পৌঁছান। কিন্তু মোস্তাফিজ শেষ বলে কোনোরকমে ব্যাট লাগিয়ে ১ রান নেন। আর তাতেই তাসকিনকে একক বিশ্বরেকর্ড গড়া থেকে বঞ্চিত করেন। মোস্তাফিজের উইকেট পেলে তাসকিন হতেন একক বিশ্বরেকর্ডের মালিক।
স্বপ্নের বোলিং স্পেল ৪-০-১৯-৭। প্রথমে ব্যাট করা ঢাকার স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানের জবাবে রাজশাহী ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৯ রান করেন। দিনশেষে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তাসকিনই। মাত্র ১৯ রানে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট।
তাতে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হলো এই পেসারের নাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। সেইসঙ্গে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট লাভের বিশ্বরেকর্ডধারীও এখন তাসকিন। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রুস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট। এদের পাশে ইতিহাসে তৃতীয় বোলার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি এখন বাংলাদেশের তাসকিনের।
শুরুটা করেছিলেন লিটনকে দিয়ে। ৫ বলে শূন্য রান করে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর তাসকিন ফেরান তানজিদ হাসান তামিমকে। পরে তার বলে আউট হন শাহাদত হোসেন, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, আলাউদ্দিন বাবু, মুকিদুল ইসলাম ও শুভাম রাঞ্জনি।