যেই উইম্বলডনে তিনি সাতটি ট্রফি জিতেছেন, গত বছরের সেই প্রতিযোগিতা থেকেই সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। নেপথ্যে স্পেনের কার্লোস আলকারাজ নামের এক অদম্য খেলোয়াড়, যিনি হারতে শেখেননি। তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠে তিন বারই জয়। বিশ্বের এক নম্বরকেও ভয় পান না।
জোকোভিচের সামনে ফেদেরারের আট ট্রফি ছোঁয়ার হাতছানি। টেনিসে নিজের গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ। তবে সবার আগে নিঃসন্দেহে যেটা কাজ করছে, তা হল প্রতিশোধের বাসনা। দুনিয়াকে দেখানো, বুড়ো হাড়ে জোর এখনও কমেনি।
গতবার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেও ২২ বছর বয়সী আলকারাজ যে জোকোভিচকে হারিয়ে দেবেন, এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। চার ঘণ্টা ৪২ মিনিটে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে জিতেছিলেন আলকারাজ। গত মাসে ফরাসি ওপেন জেতেন তিনি।
রোববার রাত ৭টায় শুরু হবে ফাইনাল। ম্যাচে আলকারাজ জিততে পারলে বিশ্বের ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসাবে ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন দু’টিই জেতার নজির গড়বেন। এই নজির রয়েছে রড লেভার, বিয়র্ন বর্গ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার এবং নোভাক জোকোভিচের।
আলকারাজ অবশ্য বলেছেন, ‘গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতাটাই কঠিন কাজ। সুরকি থেকে ঘাসের কোর্ট পুরোপুরি আলাদা। সম্পূর্ণ অন্য খেলা খেলতে হয়। আমি চেষ্টা করব। ছোট যে তালিকা রয়েছে, সেখানে নিজের নামও ঢোকানোর চেষ্টা করব। জানি খুব বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি তৈরি।’
বড় মঞ্চে আর একবার আলকারাজের সঙ্গে লড়াই উপভোগ করতে চলেছেন জোকোভিচ। বলেছেন, ‘গতবার পাঁচ সেটের লড়াইয়ে ও আমাকে হারিয়েছিল। এবারও তার থেকে কম কিছু ভাবছি না। কোর্টে দারুণ একটা লড়াই হতে চলেছে। ম্যাচে যেমন দরকার তেমন খেলতে পারে। তাই নিজের সেরাটা না দিলে ওর মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে জেতা অসম্ভব।’
মুখোমুখি সাক্ষাতে জোকোভিচ এখনও ৩-২ এগিয়ে রয়েছেন।