ম্যাচের ৪২ তম ওভারে বল করতে আসেন নাসুম আহমেদ। তার করা প্রথম বলটি ছিল লেগ সাইডে। বিরাট কোহলি বলের লাইন বুঝে শেষ মুহূর্তে তার বাঁ পাটি সরিয়ে নেন। বলটি তার কোনো জায়গায় টাচ না করে লেগ সাইড দিয়ে চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। সাধারণত এমন হলে সেটা ওয়াইড বল হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু গতকাল(শুক্রবার) আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো নাসুমের ওই ডেলিভারিটি ওয়াইড না দিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। তার এমন সিদ্ধান্তের পর অনেকেই বলছেন বিরাট কোহলিকে শতক করা সুযোগ দেওয়ার জন্যই আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত। তবে আসলে নিয়মটা কি তা একটু জেনে নেওয়া যাক।
নীতিমালার ২২.১.২ ধারা অনুযায়ী, কোনো বল ‘নো’ না হলে আম্পায়ার বলটি ওয়াইড দিতে পারবেন এবং ব্যাটার যে পজিশনে দাঁড়িয়ে আছেন সেখান থেকে যদি সেটি ওয়াইড লেন্থে যায়। কিন্তু ২২.১ ধারায় একটু সংস্কার এনে এমসিসি জানিয়েছে, বোলার বল ডেলিভারি করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যাটার যে পজিশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটাকে তার স্টান্স পজিশন ধরা হবে।
বিষয়টি পরে আরও পরিষ্কার করে এক বিবৃতিতে এমসিসি বলেন, “আধুনিক ক্রিকেটে বোলারদের ডিসট্রেক করার লক্ষ্য ব্যাটাররা বল ডেলিভারি হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রিজে অনেক বেশি নড়াচড়া করেন। এক্ষেত্রে ব্যাটার যে পজিশনে বল ডেলিভারি হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত স্টান্স নিয়েছিল ওই লেন্থে বোলার বল করলে সেটি ওয়াইড হবে না। তবুও তাতে আম্পায়ার ওয়াইড ডাকলে তা অনৈতিক হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে নাসুমের ডেলিভারির আগে ওপেন স্টান্সে দাঁড়িয়েছিলেন কোহলি। তার ফ্রন্ট ফুট ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। টাইগার স্পিনার বল ছাড়ার পরে স্টান্স বদল করেন ভারতীয় ব্যাটার। কিছুটা ভেতরের দিকে সরে যান এবং বলের নাগাল এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
ম্যাচশেষে নাসুম আহমেদ বলটি ইচ্ছে করে ওয়াইড দিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হয় ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে। জবাবে তিনি বলেন, “না ইচ্ছে করে এরকম কিছু করা হয়নি। আমরা প্রপার ম্যাচ খেলতে চেয়েছি।”
একই প্রসঙ্গ উঠে আসে ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিলের সামনেও। তিনি বলেন, “কোনটাতে অবাক হব? ডেলিভারিটা নাকি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা (হাসি)। (বোলার) ইচ্ছে করে দিয়েছে কিনা কীভাবে বলি। আমার মনে হয় বোলার আঁটসাঁট লাইনে বল করতে চেয়েছে, তাই ওরকম হয়ে গেছে।”