ক্রিকেট নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে ভারত। সম্প্রতি ভারতের আইপিএলে বাংলাদেশের তারকা খেলোয়াড়দের নেয়নি কোনো দলই। হয়তো সেটা হতে পারে ভারতের পছন্দের সরকার এখন ক্ষমতায় নেই। এবার তারা ইংল্যান্ডের এক ক্রিকেটারের ভিসা দেয়নি। কেউ কেউ ভাবতে পারেন সাকিবের বোলিংকে ভয় পায় ভারতের ব্যারটাররা। সেটা হতেও পারে। কারণ, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট সফর বিনিময় করছে না। খতিয়ে দেখা গেছে, ভারত নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে ম্যাচ হেরেছে অনেক বেশি। তবে বোঝা যাচ্ছে না সত্যিটা কি।
ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ় খেলতে আসার কথা ছিল সাকিব মাহমুদের। কিন্তু পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের এই পেসার ভারতে আসার ভিসা এখনও পাননি। এই পরিস্থিতিতে তার বিমানের টিকিট বাতিল করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। সাকিব তো ইংল্যান্ডের নাগরিক। অথচ, এর আগে পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় দলের আজহার মাহমুদ ইংল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে ঠিকই আইপিএল খেলেছেন। তখন ভারতের পাকিস্তান বিদ্বেষ না থাকলেও এবার সাকিবের বেলায় কেন এমনটা কেন করলো তারা, বিষয়টি অস্পষ্ট।
জানা গিয়েছে, সাকিবের পাসপোর্ট এখনও ভারতীয় দূতাবাসে রয়েছে। সাকিব ইংল্যান্ডেই রয়েছেন। ভারতে আসার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পেসারদের একটি শিবির করেছে ইংল্যান্ড। সেখানে রয়েছেন জোফ্রা আর্চার, ব্রাইডন কার্স, মার্ক উডরা। মেন্টর জেমস অ্যান্ডারসন তাদের অনুশীলন করাচ্ছেন। সেখানে যেতে পারেননি সাকিব।
ভারতে ২২ জানুয়ারি থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ইংল্যান্ডের। তার আগে ১৭ জানুয়ারি তাদের ভারতে আসার কথা। সাকিব এখনও ভিসার জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তার ফলেই তার বিমানের টিকিট বাতিল করা হয়েছে। এই বিষয়ে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কোনও মন্তব্য করেনি।
তবে এই প্রথম নয়। গত বছর ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ভারতে খেলতে আসারও ভিসা পাননি সাকিব। তার আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে ভারতে আসার আবেদন করেছিলেন তিনি। তখনও তার ভিসা মঞ্জুর হয়নি।
ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। ২২ জানুয়ারি প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ২৫ জানুয়ারি চেন্নাই, ২৮ জানুয়ারি রাজকোট, ৩১ জানুয়ারি পুণে ও ২ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে হবে পরের চারটি ম্যাচ। ভারতে সিরিজ শেষে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে চলে যাবে ইংল্যান্ড দল।
