হারতে হারতে জয়ের স্বাদ কেমন হয় সেটাই যেন ভুলতে বসেছিল ঢাকা ডমিনেটরস। এ ম্যাচেও খুলনার বিপক্ষে তাদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০৮ রান। অথচ সেই ম্যাচেও বোলারদের আগুনঝড়া বোলিংয়ে খুলনাকে ৮৪ রানে থামিয়ে ২৪ রানের অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। টানা ষষ্ট হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ঢাকা, আসরে এটা ঢাকার দ্বিতীয় জয়।
ওদিকে ৫৮ রানে চার উইকেট থেকে ৮৪ রানেই অলআউট খুলনা নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করলো। আর এতে করে শেষ চার নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে গেলো রুপসা পাড়ের দলটির জন্য।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র আট রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। খুলনার স্পিনার নাহিদুলের ঘূর্নিতে একে ফিরে যান মিজানুর রহমান, ওসমান গানি ও মোহাম্মদ মিঠুন।
এরপর অ্যালেক্স ব্লেককে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দিয়েছেন সৌম্য সরকার। তবে জুটিতে সিংহভাগ অবদান সৌম্যের। লম্বা সময় ধরে নিজের ছায়া হয়ে থাকা সৌম্য অবশেষে দলের সবচেয়ে বড় বিপদের দিনে রানের দেখা পেলেন।
দলীয় ৩৮ রানে ব্লেক ফেরার পর উইকেটে আসেন নাসির হোসেন। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা নাসির অবশ্য এদিন রান পাননি। দলীয় ৭৮ রানে ফিরেছেন মাত্র পাঁচ রান করে।
এরপর যত দ্রুত উইকেটে এসেছেন তার চেয়ে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন ঢাকার ব্যাটাররা। তবে অন্যপ্রান্তে আগলে রেখে ৪৫ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। এ সময়ে ছয় চার ও দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত সৌম্যের ইনিংসের উপর ভর করে দুই বল বাকি থাকতে ১০৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৯ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার শাই হোপকে হারায় খুলনা টাইগার্স। তিন নম্বরে নেমে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়।
দলীয় ৩০ রানে জয়কে ফিরিয়ে দেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে সাবলিল ভাবে রান তুলতে থাকা তামিক ইকবালও এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৩ বলে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরে যান তিনি।
এরপর দলীয় ৫৮ রানে পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক আজম খানও ফিরে যান। ৯ রানের ব্যবধানে রাব্বিকে ফিরিয়ে দেন ঢাকার বোলার সালমান ইরশাদ। ফেরার আগে ২১ রানের ইনিংসে আসে রাব্বির ব্যাট থেকে।
দলীয় ৭৫ রানে আহমেদ বাট ফেরার পর মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে ফিরে যান নাহিদুল ইসলামও। আমির হামজার করা ১৪তম ওভারে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন আমাদ বাট। এরপরের ওভারে দুই বাউন্ডারি হজম করলেও নাহিদুল ও নাসুমকে ফেরান ঢাকার পেসার আল আমিন হোসেন। ।
এরপর পরের ওভারে এসে জোড়া উইকেট নিয়ে ঢাকার অবিশ্বাস্য জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের প্রথম বলে দারুণ এক বাউন্সারের ভড়কে যাওয়া মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন শর্ট মিড উইকেটে হামজার দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচ ফিরে যান। এর এক বল পরই নাহিদ রানাকে বোল্ড করেন খুলনার কফিনে শেষ পেরেক মারেন তাসকিন।