ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে জিয়াউর রহমানের ক্যামিওতে মাত্র ১১৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বোলার কল্যাণে অবশ্য সেটাই পরে যথেষ্ট হয়ে গিয়েছে। কার্টিস ক্যাম্পার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তোপে ঢাকাকে মাত্র ১০৩ রানেই থামিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের একাদশ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে চট্টগ্রামের জয় এসেছে ১৫ রানের ব্যবধানে। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এটা তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে তিন ম্যাচ জেতা ঢাকা আসর শেষ করলো হার দিয়ে।
দিনের প্রথম খেলায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরতেই বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। দলীয় ১৮ রানে ইরফান শুক্কুর ফেরার পর মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে আরও চার উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
তিন নম্বরে নামা উন্মুক্ত চাঁদ তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি, আর চার নম্বরে নামা আফিফ ফেরেন মাত্র এক রানে। অধিনায়ক শুভাগত হোমও এদিন দলকে বাঁচাতে ব্যর্থ, তিনিও ফিরেছেন মাত্র এক রানেই।
এরপর কার্টিস ক্যাম্পারকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন উসমান খান। দলীয় ৬৯ রানে কার্টিস ব্যক্তিগত ১১ রানে ফিরলে ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। সঙ্গী হারানোর পর মাত্র তিন রানের ব্যবধানে ফিরে যান উসমান খানও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রানের ইনিংস।
এরপর দলীয় ৮০ রানে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান পারভেজ রাসুলি। শেষ দিকে ব্যাট হাতে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন জিয়াউর রহমান। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস। শেষ পর্যন্ত আট উইকেট হারিয়ে ১১৮ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ঢাক, ফিরে যান ওপেনার মামুন। অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৬ বলে তিন চারে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
চার রানের ব্যবধানে ফিরে যান আরিফুল হকও। এরপর নাসির হোসেন এবং অ্যালেক্স ব্লেক মিলে প্রাথমিক মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। দলীয় ৬৭ রানে ব্লেক ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি।
দলীয় ৮৮ রানে অধিনায়ক নাসির ফেরার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ। ব্যক্তিগত ২৪ রানে মেহেদী মারুফের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন নাসির।
এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে আগেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় ঢাকার। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ১০৩ রান করতে সক্ষম হয় ঢাকা। ফলে ১৫ রানের ব্যবধানে হার নিয়ে আসর শেষ করলো নাসির হোসেনের দল। চার ওভারে ১৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার কার্টিস ক্যাম্পার।