কিংস্টনের সেন্ট ভিন্সে বুধবার বাংলাদেশ ২৭ রানের সহজ ব্যবধানে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করেছে। এটা ছিল দুই বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সপ্তম টি-টোয়েন্টি জয়। এর আগে, সোমবার একই মাঠে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জেতে ৭ রানে। টানা দুই জয়ের পরও দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
এখন পর্যন্ত দুই দল ১৮ বার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ বার এবং বাংলাদেশ ৭ বার জিতেছে। বাকি দুই ম্যাচের কোনো ফলাফল হয়নি।
২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জেহানেসবার্গে জেহানেসবার্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বার মুখোমুখি হয় টাইগার ও ক্যারিবিয়ানরা। ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জিতেছিল।
এরপর ২০০৯ সালের ২ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেসেতেরে মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট জয়ী হয়েছিল।
২০১১ সালের ১১ অক্টোবর মিরপুরে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়লাভ করে।
২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮ রানে জয় পায়।
২০১৪ সালের ২৫ মার্চ মিরপুরে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়লাভ করে। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট বেসেতেরে মাঠের ম্যাচটি পুরত্যক্ত হয়।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই বেসেতেরে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটের সহজ জয় পায়। একই সিরিজে অবশ্য বাংলাদেশ পরের দুটি ম্যাচে জয়ী হয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের দখলে নেয়। ৪ আগস্ট লডারহিলে ১২ রানে এবং ৫ আগস্ট একই মাঠে ১৯ রানে জয়লাভ করে বাংলাদেশ।
এরপর ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী হয়। একই সফরে ২০ ডিসেম্বর মিরপুরে বাংলাদেশ ৩৬ রানে জয়লাভ করলেও একই মাঠে তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-১ ব্যবধানে ৫০ রানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর শারজায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ রানে জয়লাভ করে।
২০২২ সালের ২ জুলাই রোসিউ মাঠের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তবে ঐ সিরিজে একই মাঠে ৩ জুলাই স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫ রানের সহজ জয় পায়। প্রভিডেন্সে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়লাভ করে।
কিংস্টনের শুক্রবার চলতি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে হোয়াইটওয়াশ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেইসঙ্গে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কমবে। আর বাংলাদেশ হারলে সান্তনার জয় পাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দুই দলের মোট হারজিতের ব্যবধান বেড়ে যাবে।