নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপের প্রায় সকলেই ছিলেন ব্যর্থ। স্পিন সহায়ক উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ধৈর্যশীল ব্যাটিংটাই গড়ে দিয়েছে পার্থক্য। যে কারণে ১২ বছর আর ১৮ সিরিজ পর প্রথমবার ঘরের মাঠে টেস্ট ফরম্যাটে সিরিজ হারতে হয়েছে ভারতকে।
তবে এই ব্যর্থতার মাঝেও একজনই ছিলেন ব্যতিক্রম। ওপেনার যশস্বী জসওয়াল খেলেছেন মনে রাখার মতো ইনিংস। সময় নিয়ে থিতু হয়েছেন। সুযোগ বুঝে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের করেছেন শাসন। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস ছাড়া বাকি তিন ইনিংসেই দলের অন্য ব্যাটারদের তুলনায় সফল ছিলেন জসওয়াল। ক্যারিয়ারে মাত্র ১৩ টেস্ট খেলা এই তরুণ ওপেনার এরইমাঝে নিজের নাম তুলেছেন বিশ্বরেকর্ডের পাতায়।
২০২৪ সালে এরইমাঝে টেস্ট ক্রিকেটে পূরণ করেছেন ১ হাজার রান। এই রানের পথে করেছেন ৯ ফিফটি। এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে টেস্ট ফিফটির বিশ্বরেকর্ড এরইমাঝে স্পর্শ করেছেন এই ভারতীয় ওপেনার। ৯ ফিফটির মাধ্যমে পাকিস্তানের কিংবদন্তি মোহাম্মদ ইউসুফের ২০০৬ সালে গড়া রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি।
জসওয়াল পেছনে ফেলেছেন ৮ ফিফটি করা রিকি পন্টিং, মাহেলা জয়াবর্ধনে, বাবর আজম আর মাইকেল আথারটনকে। ইংল্যান্ডের আথারটন ১৯৯০ সালে প্রথম করেছিলেন এক বছরে ৮ ফিফটি। এরপর ২০০১ সালে জয়াবর্ধনে, ২০০৫ সালে পন্টিং এবং ২০২২ সালে বাবর টেস্ট ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
৯ ফিফটির সুবাদে টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে হাজার রানও পূরণ করেছেন জসওয়াল। ১৯৭৯ সালে ভারতের গুনদাপ্পা বিশ্বনাথ করেছিলেন ১ হাজার ৪৭ রান। ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচের ব্যাটে এসেছিল ১ হাজার ৫৮ রান। ২০০৪ সালে জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং ২০০৬ সালে মোহাম্মদ ইউসুফ স্পর্শ করেছিলেন এই ল্যান্ডমার্ক। ২০১২ সালে মাইকেল ক্লার্ক করেছিলেন ১ হাজার ৪০৭ রান। টেস্ট ক্রিকেটে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রানের নজির এখন পর্যন্ত সেটিই।
জসওয়াল এখন পর্যন্ত করেছেন ১ হাজার ৫৬ রান। তার সামনে আছে নিউজিল্যান্ড সিরিজের এক টেস্ট এবং বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজের ৪ টেস্ট।
জসওয়াল ঠিক কোথায় গিয়ে থামবেন চলতি বছর শেষে, তা বলা যাচ্ছে না। মাইকেল ক্লার্কের পর হয়ত নতুন এক বিশ্বরেকর্ডের দেখাও হয়ত দেখা যেতে পারে বছরশেষে।