বলিভিয়ার বিপক্ষে নিয়মিত অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে বাদেই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। এদিন দলে মেসি না থাকার চেয়েও তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল লাপাজের উচ্চতা। যেটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ২২৫ মিটার ওপরে। যার কারণে ভালো পারফরম্যান্স করাতো দূরে থাক বেশির ভাগ সময়ই অক্সিজেনের অভাবে নাভিশ্বাস ওঠে খেলোয়াড়দের টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠে। এই কঠিন কন্ডিশনে মেসিকে ছাড়াই জয়ও পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বলিভিয়াকে ৩-০ হারানোর ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনহেল দি মারিয়া। তাই ম্যাচ শেষে তিনি জানান দলের পারফরম্যান্সে খুশি।
আর্জেন্টিনার ৩-০ তে জয়ে ম্যাচে ২ গোলে অবদান রাখেন ডিমারিয়া। ৩১ মিনিটে চেলসি মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ এবং ৪২ মিনিটে নিকোলাস তালিয়াফিকোকে দিয়ে গোল করান এই উইঙ্গার।
বলিভায়ার সঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ এই উইঙ্গার। সেই সঙ্গে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। দি মারিয়া বলেন, “উচ্চতার বিষয়টি আসলে মানসিক। সত্যি বলতে শুধু নিজের পারফরম্যান্সে নয়, দলের পারফরম্যান্সেও খুশি। জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা দুর্দান্ত খেলছি। ম্যাচে কোনো ভুল করিনি, তারা আমাদের বিপক্ষে কোনো গোলও পায়নি। অর্থাৎ আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল, আর যখন সুযোগ ছিল, তখন আমরা গোলও করেছি।”
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিজের ইচ্ছাতে ৮৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন মেসি। মাঠ ছাড়ার আগে নিজের আর্মব্যান্ডটা খুলে দি মারিয়ার হাতে পরিয়ে দিয়ে যান। আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গারের কাছে দলটাকে নেতৃত্ব দেওয়া বিশেষ কিছু, আর এলএম টেনের হাত থেকে আর্মব্যান্ড নেওয়া এই অর্জনকে আরও বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে দাবি দি মারিয়ার। আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গার বলেন, “সত্যি বলতে খুবই ভালো লাগছে। এটা একটা আবেগের জায়গা। সেই আবেগের ছোঁয়া আরও বেশি ছিল যখন লিও (মেসি) আগের ম্যাচে আমাকে আর্মব্যান্ড পরিয়ে দিয়েছিল। কারণ বিশ্বসেরার কাছ থেকে আর্মব্যান্ড নেওয়ার অনুভূতি অন্য রকম।”