বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। স্বপ্ন ছিল ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটা দেশের মাটিতে খেলবেন। কিন্তু তার আর হয়তো দেশে ফেরা সম্ভব হবে না। দেশে ফেরার পথে থাকলেও দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা এই খেলোয়াড়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়েছিলেন তিনি। দুবাইয়ে যাত্রবিরতি চলছিল তার। তিনি বৃহস্পতিবার জানান, নিজের নিরাপত্তার জন্যই এখন দেশে ফিরতে পারছেন না।
সাকিব জানিয়েছেন, ‘দেশে ফেরার কথা ছিল… কিন্তু এখন হয়তো ফিরতে পারব না সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্যই…।’
সাকিবের কথায় এই হয়তো শব্দটি থাকায় দেশের ফেরার সম্ভাবনা আবার কিছুটা রয়েও যায়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কখন আসতে পারে, এটি জানতে চাওয়ার পর তার উত্তর, ‘এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তই বলতে পারেন।’
যার মানে, ৩৭ বছর বয়সী সাকিব এই সংস্করণে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন ভারতের কানপুরে। ঐ টেস্টের আগে সাকিব ঘোষণা দিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে দেশের মাঠ থেকে এই সংস্করণকে বিদায় জানাতে চান তিনি। হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় দেশে ফেরা ও পরে নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা চেয়ে আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া শুরুতে কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। পরে ফেইসবুকে দীর্ঘ বাতায় দুঃখপ্রকাশ করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সাকিব। বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কণ্ঠের সুরও বদলে যায়।
ক্রীড়া উপদেষ্টা কদিন আগেই বলেন, সাকিবের দেশে ফেরা ও পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে যাওয়ায় কোনো বাধা তিনি দেখেন না। তখন মিরপুর টেস্টের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াডে তাকে রাখেন নির্বাচকরা।
টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণার আগে থেকেই তার দেশে ফেরা ঠেকাতে কিছু লোকের মিছিল, স্লোগান, দেয়াল লিখন গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেখা গেছে মিরপুর স্টেডিয়ামের আশেপাশে। সাকিব-বিরোধী ও সাকিবের ভক্তদের মুখোমুখি অবস্থান ও কিছুটা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সাকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অনুশীলন চলছে মিরপুর স্টেডিয়ামে। এই সময়ে স্টেডিয়ামের পাশেপাশে আন্দোলন হলে এবং সেসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ভড়কে যেতে পারে।