বিশ্বকাপের আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়ছেন তিনি। বিদায় মঞ্চটা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিশ্বকাপ আসরটাকে। আর আসরটাকে ব্যাট হাতে রাঙ্গিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এখন ৭ ম্যাচ খেলে ৪টিতেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন কুইন্টন ডি কক। ভাঙছেন একের পর এক রেকর্ড। বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন ডি কক। আর তৃতীয় সেঞ্চুরিটি আসে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৭৪ রানের সেই ইনিংসটি এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। আর চতুর্থ সেঞ্চুরিটি এসেছে আজ (বুধবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
এক বিশ্বকাপে চার সেঞ্চুরির রেকর্ডে লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার (২০১৫ বিশ্বকাপ) পাশে বসলেন ডি কক। আর একটি সেঞ্চুরি হলেই ছুঁয়ে ফেলবেন রোহিত শর্মার এক আসরে (২০১৯ বিশ্বকাপ) সর্বোচ্চ পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ড। এই বিশ্বকাপে চার শতক পাওয়া ডিকক এর আগে দুটি বিশ্বকাপে শতকের দেখাই পাননি।
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, এক বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও এখন ডি ককের দখলে। এ ছাড়া চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের (৫৪৫ রান) মালিকও প্রোটিয়া এই ওপেনার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০০ রান করে টুর্নামেন্ট শুরু করেন ডি কক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে করেন ১০৯। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ রানে আউট হন ডি কক। বাংলাদেশের বিপক্ষে আবারও শতকের দেখা পান তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ডি কক। করেন ২৪ রান।
আজ ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন তিনি। ইনিংসের ৩৬ ওভারের শেষ বলে জিমি নিশামকে ছক্কা হাঁকিয়ে ১০৩ বলে চলতি আসরে নিজের চতুর্থ শতরান পূর্ণ করেন ডি কক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ২১ তম সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৫) ও হাশিম আমলার (২৭)।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অবশ্য। সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের তালুবন্দি হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৬ বলে ১০ চার ও তিন ছক্কায় ১১৪ রান করেছেন।
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি
রোহিত শর্মা ৫টি (২০১৯ বিশ্বকাপ)
কুমার সাঙ্গাকারা ৪টি (২০১৫ বিশ্বকাপ)
কুইন্টন ডি কক ৪টি (২০২৩ বিশ্বকাপ)