• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাবা রিকশা চালিয়ে আমার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, সিরাজের স্মৃতিচারণ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
বাবা রিকশা চালিয়ে আমার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, সিরাজের স্মৃতিচারণ
মুহম্মদ সিরাজ । ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিনই কেটেছে মুহম্মদ সিরাজের। বুধবার তার ৩০তম জন্মদিন। সে দিনই সিরাজ নিজের জীবনের বিভিন্ন অজানা কথা তুলে ধরলেন। জানালেন, কী ভাবে ছোটবেলায় অর্থাভাবে পড়ে কেটারিংয়ের কাজ করে অর্থ রোজগার করেছেন। একবার তো ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন।  

বুধবার ভারতের ক্রিকেট বোর্ড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে সিরাজ নিজের শহর হায়দরাবাদ ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। চিনিয়েছেন কোথা থেকে তার খেলা শুরু হয়েছিল এবং কোথায় তিনি অবসর সময় কাটাতেন। গোটা বিশ্ব ঘুরে বেড়ালেও ঈদগাহ যে এখনও তার কাছে শান্তির জায়গা সেটা উল্লেখ করেছেন।
সিরাজ বলেছেন, ‘হায়দরাবাদে নামলে প্রথমেই বাড়ি ফেরার কথা চিন্তা করি। তার পরে ঈদগাহে যাই। বিশ্বের যেখানেই যাই না কেন, এখানকার থেকে বেশি শান্ত কোথাও নেই। ঈদগাহে গেলেই আলাদা শান্তি পাই।’

এর পরই নিজের অতীত অভিজ্ঞতার কথা জানান সিরাজ। বলতে থাকেন, ‘আমি কেটারিংয়ের কাজ করতাম। পরিবারের লোকেরা বলত পড়াশোনা করতে। কিন্তু আমি ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। আমরা ভাড়াবাড়িতে থাকতাম। অটো রিকশা চালক বাবা ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। রিকশা চালিয়েই বাবা আমার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বলতেন, আমার ছেলে দেশের সম্মান বাড়াবে।’

সিরাজ বলেন,  ‘এখানে সেখানে ক্রিকেট খেলতাম। একটা শতরান করে দুশো টাকা পেলেই খুশি থাকতাম। তার মধ্যে ১০০-১৫০ টাকা বাড়িতেই দিয়ে দিতাম। এক বার রুমালি রুটি বানাতে গিয়ে আমার হাত পুড়ে গিয়েছিল। তাতেও অসুবিধা হয়নি। এত কষ্ট করেছি বলেই আজ এখানে এসে পৌঁছেছি।’

সিরাজ আরও বলেন, ‘২০১৯-২০ সালে হতাশা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এ বছরই শেষ। এর পর ক্রিকেট খেলাই ছেড়ে দেব। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করলে তা বৃথা যায় না। দিনের শেষে না পেলেও, আজ না হোক কাল, এ বছর না হলে পরের বছর আপনার পরিশ্রম কাজে লাগবেই। এখন আর আমি হতাশ নই।’
 

Link copied!