বয়স যে কোনো বিষয় না সেটা প্রমাণ করলেন ৩৯ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ বয়সে প্রতিপক্ষ রক্ষণে রীতিমতো ভীতি ছড়াচ্ছেন এই তারকা। আরও একবার দেখা গেল রোনালদোর ভয়ঙ্কর রূপ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জোড়া গোল করে রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। দলকেও এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক জয়।
ইউরোর আগে শেষ প্রস্তুতিপর্ব সেরে নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে রোনালদোর পর্তুগাল। ম্যাচে আইরিশদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে পর্তুগাল।
পর্তুগালের হয়ে দুটি গোল করেছেন রোনালদো। আর এই দুই গোলে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে টানা ২১ পঞ্জিকাবর্ষে গোলের কীর্তি গড়েছেন পর্তুগিজ তারকা। পর্তুগাল মূল দলের হয়ে তার অভিষেক ২০০৩ সালে, পরের বছর পান প্রথম গোলের দেখা, সেই থেকে গোল করেছেন প্রতি বছর।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে পর্তুগাল। গোলের জন্যও অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি। অষ্টাদশ মিনিটে ডান দিক থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাস বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শট নেন ফেলিক্স, সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় বল।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদোও। তবে অনেক দূর থেকে তার নেওয়া ফ্রি কিকে বল রক্ষণ দেয়ালে একজনের মাথায় লেগে দিক পাল্টে লক্ষ্যেই ছিল, কিন্তু পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ১-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। মাঝমাঠ থেকে রুবেন নেভেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে দারুণ এক ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি।
প্রথম গোলের ১০ মিনিট পর অর্থাৎ ম্যাচের ৬০ মিনিটে আরেকটি দারুণ গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রোনালদো। বাঁ দিক থেকে দিয়োগো জটার পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
ম্যাচের বাকিটা সময়ও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে ২০ বার গোলে শট নেয়া পর্তুগাল। তবে এসময়ে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দলটি। তবে বড় জয় নিয়েই ইউরোর প্রস্তুতি শেষ করল রোনালদোর দল।