সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন পর্তুগালের গনসালো রামোস। সুযোগটা ভালোমতোই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। তার পা থেকেই এসেছে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। সব মিলিয়ে রামোসের দিনে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পর্তুগাল।
মঙ্গলবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড। ধারণা করা হচ্ছে, কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে এ ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সঙ্গে জোয়াও ক্যানসেলোকে সাইড বেঞ্চে রেখেছিল পর্তুগাল। যদিও পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস বলেছেন, পুরোটাই কৌশলগত দিক। শুরুর একাদশ দেখে কিছুটা খর্বশক্তির মনে হচ্ছিল পর্তুগালকে। তবে সেই ‘মনে হওয়া’ স্থায়ী আর হতে পারেনি। দাপট দেখিয়েই সুইসদের হারিয়েছে পর্তুগিজরা।
২১ বছর বয়সী বেনফিকা তারকা রামোস বলেছেন, বিশ্বকাপের শেষ ষোলো রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করা সত্ত্বেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখনও পর্তুগালের প্রধান ব্যক্তি, তাদের নেতা।
ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের রামোস বলেন, "আমি স্বপ্নেও ভাবিনি নকআউট পর্বের প্রথম একাদশে থাকব। আমার প্রত্যাশার বাইরে ছিল। তবে এখন আমরা এই খেলার কথা চিন্তা না করে মরক্কোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
রোনালদোর জায়গায় শুরুর একাদশে নেমেছেন রামোস, পেয়েছেন হ্যাটট্রিক। তবে মাঠের বাইরে থেকেও রোনালদো তাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বেনফিকা স্ট্রাইকার বলেন, “ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আমাদের নেতা। তিনি আমাদের অধিনায়ক। আমরা সবসময় তার সাথে পাশাপাশি খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকি।”
২০০৬ সালের পর এই প্রথম পর্তুগাল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে। শনিবার আফ্রিকান দেশ মরক্কোর মুখোমুখি হবে রোনালদোরা। স্পেনকে পেনাল্টিতে হারিয়ে কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা একমাত্র আরব দেশটি।