যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১-এর ‘গ’ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। এদিন আল-আমিন হাজিরা দেন। আদালত চার্জশিটে স্বাক্ষর করে। এরপর মামলাটির পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ বদলির আদেশ দেন।
আজ রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আল-আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ৯ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে এ ঘটনায় গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধরের পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। পরে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করেন। এরপরও আল-আমিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন।
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।