এশিয়া এবং বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার মতো বিভিন্ন দেশের বাজারের দিকে নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার (ফিফা)। আর এবার দেখা গেল অলিম্পিকও তার বাইরে নয়। ক্রিকেট বানিজ্যের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনায় বদল আনছে অলিম্পিকও। আগামী অলিম্পিক গেমসের বিভিন্ন ইভেন্ট লস অ্যাঞ্জেলেসে হলেও ক্রিকেট ম্যাচগুলো হতে পারে নিউইয়র্কে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্তে নিউইয়র্ক, আর এক প্রান্তে লস অ্যাঞ্জেলেস। বিমানে যেতে সময় লাগে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে ১০ ঘণ্টা। লস অ্যাঞ্জেলেসের থেকে ১৩ ঘণ্টা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় এশিয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে স্থানীয় সময় সকালবেলায় শুরু হচ্ছিল খেলা। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের কথা মাথায় রাখলে ভোরবেলা খেলা শুরু করতে হবে, যা কার্যত অসম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র ‘দ্য টাইমস’-এর দাবি, অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান কেসি ওয়েসারমান জানিয়েছেন, ক্রিকেট নিয়ে অন্য পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী অলিম্পিকেই প্রত্যাবর্তন হচ্ছে ক্রিকেটের। দক্ষিণ এশীয় মানুষের কথা ভেবেই এই খেলাকে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার সম্প্রচারস্বত্বের মধ্যে উপমহাদেশের বাজার গুরুত্বপূর্ণ, তাই অন্য শহরে ক্রিকেট আয়োজন করা হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে এগিয়ে নিউইয়র্ক। সেখানেই এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছে। মেজর লিগ ক্রিকেটে এমআই নিউইয়র্কের ঘরের মাঠ ব্রুকলিনের মেরিন পার্কে ম্যাচগুলো আয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া ১০ হাজার আসনের একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করার কথাও চলছে।
পাশাপাশি বিপুল ক্রীড়াবিদের চাপও কমাতে চাইছে লস অ্যাঞ্জেলেস। গত অলিম্পিকে ১০ হাজারের মতো ক্রীড়াবিদের সংখ্যা রাখার চেষ্টা হয়েছিল। ক্রিকেট দলগত খেলা হওয়ায় ক্রীড়াবিদের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে ১৬টি দলের প্রতিটিতে ১৫ জন ক্রিকেটার ছাড়াও সাপোর্ট স্টাফ থাকবেন। ফলে প্রায় ৫০০ লোক হবে।