ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের অষ্টম আসরের পর্দা নামতে না নামতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশে মাঠে গড়াবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। বিশ্বের দুই জনপ্রিয় খেলায় সাবলীল উপস্থিতি ছিল অনেকেরই। ইতিহাস ঘাটলেই এটা চোখে পড়বে।
তবে বিশ্বকাপে খেলেছেন এমন পুরুষ ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের পাশাপাশি বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব খেলেছেন এমন এক ক্রিকেটার হলেন ভিভ রিচার্ডস।
ক্রিকেটের একনিষ্ট ভক্ত না হলেও স্যার ভিভ রিচার্ডসের নামটা অপরিচিত হওয়ার কথা নয়। ক্রিকেট মাঠে এখনও তার নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ক্রিকেটার নয়, ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যায়।
ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের উপর রাজকীয় ভঙ্গিমায় তাণ্ডব চালানোর খ্যাতি রয়েছে তার। এজন্য তাকে ডাকা হয় ক্রিকেটের ‘অরিজিনাল কিং’ নামে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার শুরুর আগেই ফুটবল বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছিল তাকে। ঠিক ফুটবল বিশ্বকাপ না, বাছাই পর্বে দেখা মিলেছিল তার।
শুধু ব্যাট হাতে নয়, শারীরী ভাষা দিয়েও প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিতে পারতেন তিনি। হেলমেটের প্রচলন হওয়ার পর তিনি যেভাবে হেলমেট ছাড়াই গোলার মতো গতির পেসারদের বিপক্ষে ব্যাট করতেন তাতে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
ক্রিকেটে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপেই ছিলেন ভিভ। ঐ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ জয়ের অংশীদারও ছিলেন তিনি।
তবে তার আগেই ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ভিভ। ১৯৭৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অ্যান্টিগার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ভিভ একমাত্র পুরুষ খেলোয়াড় যিনি কিনা একই সাথে ক্যারিয়ারে ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপের অংশ হয়েছেন।
১৯৭৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছল তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে। ১৬ দলের ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ভিভের অ্যান্টিগা বাছাইপর্ব উতরে মূল পর্বে খেলতে পারেনি।
এরপরই আসলে ভিভের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি পড়ে যায়। ফুটবল ছেড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টেস্ট ফরম্যাটে ওই বছরের নভেম্বরেই ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার।
এরপর ক্যারিয়ারে ১২১ টেস্ট ও ১৮৭ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ভিভ। টেস্টে ৮৫৪০ ও ওয়ানডেতে ভিভের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭২১ রান। ২০০৯ সালে উইজডেনের বিচারে সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ব্যাটারও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।