চলতি বিগ ব্যাশ লিগে ঘটে গিয়েছে এক বিরল ঘটনা। অনফিল্ড আম্পায়ারকে ‘ইন্টিমিডেট’ করা অর্থাৎ ভয় দেখানোর অভিযোগে চার ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন ইংল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডার টম কারান। ম্যাচ শুরুর আগে অনফিল্ড আম্পায়ার ২২ গজে যেতে বারবার মানা করলেও, তা কানেই তোলেননি টম কারান। ফলে তাকে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি সিডনি সিক্সার্স। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, ম্যাচের আগে ২২ গজে যাওয়ার অধিকার আইন অনুযায়ী থাকে দলের একজন কোচ ও অধিনায়কের। এছাড়া আর অন্য কেউ ২২ গজে প্রবেশ করতে পারেন না। ১১ ডিসেম্বর ছিল বিগ ব্যাশে হোবার্ট হ্যারিকেন্সের বিরুদ্ধে সিডনি সিক্সার্সের ম্যাচ। যে দলের হয়ে খেলেন টম কারান। ম্যাচের আগে তিনি তার বোলিং রান আপে ‘শ্যাডো’ অনুশীলন করতে করতে ২২ গজে ঢুকে পড়ছিলেন। অনফিল্ড আম্পায়ার তাকে বারণ করেন। টম কারান না শুনে কথা কাটাকাটি শুরু করেন। এরপর আম্পায়ার ২২ গজের পপিং ক্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। কথা না শুনে টম কারান তার বোলিং রান আপে আম্পায়ারের দিকেই ছুটে আসেন। তার গায়ে লাফ দেওয়ার ভঙ্গিতে শেষ পর্যন্ত তাকে পাশ কাটিয়ে ভয় দেখিয়ে চলে যান।
টম কারানের মতন একজন অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার নিয়ম জেনেও, কী ভাবে এই ভুল করলেন, তাতে বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা। আর এ কারণেই এমন শাস্তি।
কারান সামনের বছর ৩ জানুয়ারির আগে আর বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ পাবেন না। ফলে ২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বক্সিং ডে-তে মেলবোর্ন স্টার্স এবং ১ জানুয়ারি ব্রিসবেন হিটের বিরুদ্ধে খেলা হবে না তার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আইনের লেভেল থ্রি লঙ্ঘন করেছেন কারান।