টনেনহ্যাম হটস্পারে থাকতেই তার পা থেকে গোল আসতে থাকে, গোল আসতে থাকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের পক্ষে। বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার পরও সেই গোলের স্রোত বইয়ে চলেছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলে দিনামো জাগরেবকে তো একাই গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি। চমৎকার পারফরম্যান্সের ম্যাচটিকে ইংলিশ তারকার কাছে পাগালাটে মনে হচ্ছে।
নতুন চেহারার ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টে বায়ার্নের পথচলা শুরু হয় মঙ্গলবার। ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব দিনামোকে এদিন ৯-২ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গড়ে ৯ গোল করার কীর্তি।
বায়ার্নের রেকর্ডগড়া রাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন কেইন। একাই ৪টি গোল করেন এই স্ট্রাইকার। যার তিনটি পেনাল্টি থেকে। গোল জোয়ারের ম্যাচে দলের মতো কেইন নিজেও গড়েন একটি কীর্তি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪৫ ম্যাচ খেলে এই নিয়ে তার গোল হলো ৩৩টি। ইংলিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে কেইন ছাড়িয়ে যান ওয়েইন রুনির ৩০ গোল।
সব মিলিয়েই, দুর্দান্ত একটি রাত কাটানোর আনন্দ ম্যাচ শেষে সম্প্রচারক ডিএজেডএন-এর কাছে প্রকাশ করেন ৩১ বছর বয়সী কেইন।
তিনি বলেন, ‘অসাধারণ ম্যাচ, নিশ্চিতভাবেই কিছুটা পাগলাটে ম্যাচ ছিল। শেষ পর্যন্ত এতগুলো গোল করতে পারায় রাতটি ছিল চমৎকার।’
কেইন আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, দ্বিতীয় পেনাল্টির পর আমি সত্যিই জানতাম না তৃতীয় পেনাল্টিতে কী করব, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমি সেটাও জালে পাঠাতে পেরেছি।’
তিন দিন আগেই বুন্দেসলিগার ম্যাচে হোলস্টেন কিলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন কেইন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি মৌসুমে বায়ার্নের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচে তার গোল হলো ৯টি। গত মৌসুমে ৪৫ ম্যাচে করেছিলেন ৪৪ গোল।
দিনামোর বিপক্ষে কেইনের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বায়ার্নের নতুন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। অভিজ্ঞ এই ফুটবলারকে দলে পাওয়াকে দারুণ স্বস্তির মনে করছেন তিনি।
কেইন বলেন, ‘সে অনুপ্রাণিত এবং দলে যদি একজন শীর্ষমানের খেলোয়াড় থাকে যে কিনা নিজে থেকেই এতটা অনুপ্রাণিত, তাহলে একজন কোচ হিসেবে আমার জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সে একজন নেতা, জাতীয় দলের অধিনায়ক। তার মতো খেলোয়াড়রা জানে এমন সব মুহূর্তে তাদের মেলে ধরতে হবে এবং সে সেটাই করছে।’