আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা উঠে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট। এই ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে পেয়ে প্রতিশোধের নামে তুলোধুনো করল রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড। এদিন ইংলিশদের নিয়ে ছেলে-খেলাই মেতে ছিল কিউই দুই ব্যাটার ডেভন কনওয়ে আর রাচিন রবীন্দ্র। দুই বন্ধুর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৮২ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখেই বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ব্লাক ক্যাপসরা।
রাচিন রবীন্দ্র নিজের অভিষেক বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ইনিংসটি কিউইদের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি। তার আগে রেকর্ডটি ছিল নাথান অ্যাস্টলের। তিনি সর্বকনিষ্ট হিসেবে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ওই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। তবে মজার বিষয় হলো দুটি ইনিংসই এসেছে ভারতের আহমেদাবাদে এবং প্রতিপক্ষও ছিল ইংল্যান্ড।
এর আগে কনওয়ে তুলে নেন ওডিআই ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি তিনি চলতি বছরে করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই সেঞ্চুরিকে ব্যক্তিগত দেড়শ রানে নিয়ে গেছেন কনওয়ে। মাত্র ৮৩ বলেই সেঞ্চুরি করেছেন। যা চলতি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি।
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ১৫২ রানে। ৩২ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ব্যাটার ১২১ বলের ইনিংসটি ১৯টি চার ও তিন ছক্কায় সাজিয়েছেন। উদ্বোধনী ম্যাচে রাচিন ৯৬ বলে ১১টি চার ও পাঁচ ছক্কায় ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচসেরা হয়ে রাচিন রবীন্দ্র বলেন, “কখনও কখনও এটি অবিশ্বাস্য, তবে আমাদের জন্য দুর্দান্ত একটা দিন গেছে। অসাধারণ লাগছে। বোলাররা ভালো বোলিং করেছে এবং সৌভাগ্যবশত আমি উইকেটে গিয়ে ডেভনকে পেয়েছি।”
রাচিন আরও বলেন, “ডেভনের (কনওয়ে) সঙ্গে অনেক সময় কেটেছে আমার এবং আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে-ই আমাকে বলে কীভাবে কী করতে হবে। তাই উইকেটে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করছিলাম। চার-পাঁচ বছর আগে থেকেই আমরা সবাই জানতাম ডেভন কেমন খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। কিছুটা সুইং থাকলেও উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচের মতো। গতকাল ফার্গুসন ইনজুরিতে পড়ার সময় জানলাম তিনে ব্যাট করতে হবে। সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে।”