বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ ওঠা নতুন কিছু নয়। প্রায় সময়ই এই নিয়ে ক্রিকেটারদের বিস্তর অভিযোগ থাকে। চলমান বিসিএলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে বাজে আম্পায়ারিং। এর শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মাঠ ছাড়লেও বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছে বিসিবি নর্থ জোন ও ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল জোন। ২১৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইসলামি ব্যাংকের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আম্পায়ারের ওই সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
তামিম ইকবালকে করা বলটা বেশ জোরের উপরই করেন রিপন মন্ডল। সাথে যুক্ত হয়েছিল বাউন্সও। নর্থ জোনের এই পেসারের করা বল প্রথমে খেলার চেষ্টা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেন ওয়ানডে অধিনায়ক। বল জমা হয় উইকেটের পিছনে থাকা উইকেটরক্ষক আকবর আলীর গ্লাভসে।
খেলার চেষ্টা করায় বেশ জোরালো আবেদন করেন নর্থ জোনের ক্রিকেটাররা। আবেদনে সাড়া দিয়ে তামিমকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার আলি আরমান রাজন। ওই সময় লেগ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মাসুদুর রহমান মুকুল।
সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মাঠের মধ্যেই উঁচু গলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায় তাকে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মাঠ ছাড়লেও রাগ কমেনি অধিনায়কের। মাঠের বাইরে এসে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে সাথে নিয়ে ম্যাচ রেফারির কাছে যান তামিম। সেখানে কী হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই যে ম্যাচ রেফারির কাছে গিয়েছিলেন তা বুঝতে বাকি থাকে না।
তামিমের আউটের সিদ্ধান্তের পর দায়িত্ব পালন করা দুই আম্পায়ার মুকুল ও রাজন যেন হাত তুলতেই ভুলে গিয়েছিলেন। দুইজনের কেউই নর্থ জোনের বোলারদের আবেদনে সাড়া দিচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিলো, তারা যেন আঙুল তুলতেই ভুলে গিয়েছেন।
এর আগে ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উঠেছিল বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ। সেবার সাকিব আল হাসান বাজে আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন লাথি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে।