বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর আর পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়নি আর্জেন্টিনার। জিতে চলেছিল একের পর এক ম্যাচ। তাদের সেই যাত্রা অব্যাহত ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেও। টানা চার ম্যাচ জয় পাওয়া আলবেসিলেস্তাদের এবার থামতে হলো। তাদের জয়রথ থামিয়েছে উরুগুয়ে। লিওনেল মেসিরা হেরেছে ২-০ গোলে। এই ম্যাচের পর সামনে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। এই ম্যাচে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আবারও জয়ে ফিরতে চায় বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে হারের পর তাদের কোচ ফিলিপে স্কালোনি বলেন, আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বলে অজেয় দল নয়।
অবশ্য এমন হারের পর খুব একটা সমস্যা হয়নি তাদের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই অবস্থান এখনো তাদের। তবে উরুগুয়ে যে ভালো ফুটবল খেলেই জিতেছে তা মেনে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ। ম্যাচ শেষে স্কালোনি বলেন, “সত্যি বলতে আমরা কখনোই এই ম্যাচে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলাম না। এ জয়টা তাদের প্রাপ্য, কোনো সন্দেহ নেই। সত্য এটাই যে আমরা পুরো ম্যাচেই খেলার কৌশল খুঁজে পাইনি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু পরিবর্তন এনে ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু মনে হয়েছে এটা আমাদের দিনই ছিল না। আবারও বলছি, তারা যেভাবে খেলেছে, কৃতিত্বটা তাদেরই।”
চারদিন পরই ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সুপার ক্লাসিকোর সেই ম্যাচ নিয়ে এখন পরিকল্পনা আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনির। তিনি সেই ম্যাচ নিয়ে বলেন, “কঠিন একটা ম্যাচ আসছে। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার মনে হয়, এ দলটা দেখিয়েছে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। দল হিসেবে আপনি হারবেন, জিতবেন, অন্য কোনো উপায় নেই। মাঝেমধ্যে এমন সময়ও আসে, যখন প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতে হয়। বিশ্ব চাম্পিয়ন বলেই ভাবি না যে আমরা আর হারব না। আমরা অজেয় দল নই আগেও বলেছি, বলে যাব। খেলোয়াড়েরা জানে, মানুষ তাদের পাশে আছে। আশা করছি, সামনেও এমনটাই থাকবে।”
ব্রাজিল ম্যাচটি নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, “ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি ক্লাসিক। একটি ভিন্ন লড়াই, যার অনেক ইতিহাস আছে। আমাদের জেগে উঠতে হবে এবং ব্রাজিলে অসাধারণ খেলার চেষ্টা করতে হবে। ব্রাজিলকে সবসময়ই সম্মান করি আমরা। মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা সহজ নয়।”
এদিকে উরুগুয়ের বিপক্ষে হার নিয়ে এলএমটেন বলেন, “মরা জানতাম যে, কী ধরনের ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আমাদের জন্য কঠিন ছিল খেলা। খেলার প্রতি তাদের একাগ্রতা ছিল চরমে। মাঝমাঠে শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও দ্রুতগতির খেলোয়াড় রয়েছে তাদের। আমরা একদমই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি। যে কারণে তাদের খেলা আমাদেরও গতি বাড়িয়ে দেয়।”