সিলেটের দেওয়া ১২৬ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সুনীল নারিনের তাণ্ডবে ঝড়ো শুরু পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর দ্রুত কিছু উইকেট হারালেও মাঝদিকে মঈন আলির ঝড় ও শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে চড়ে তিন ওভারের বেশি বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে কুমিল্লার জয় এসেছে চার উইকেটের ব্যবধানে। এই জয়ে আবারও বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেটের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় ৩২ রানে ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১০ বলে সাত রানের অস্বস্তিকর ইনিংস আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
তবে ততক্ষণে অন্যপ্রান্তে আরেক ওপেনার সুনীল নারীন রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন সিলেটের বোলারদের উপর। ইনিংসের ৫ম ওভারে ফেরার আগে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস।
তিন নম্বরে নেমে এদিন দ্রুত বিদায় নেন জনসন চার্লস। দলীয় ৫৮ রানে ফেরার আগে মাত্র চার করেন তিনি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও এদিনও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ, ফেরেন ১৩ রানে। এরপর মঈন আলী ১৩ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলে বিদায় নেন দলীয় ১০৭ রানে। তবে একপাশ আগলে রেখেছিলেন মোসাদ্দেক।
জাকের আলি খালি হাতে ফেরার পর দুই ছক্কায় ১০ বলে ১৫ রান করে ২০ বল বাকি থাকতেই কুমিল্লাকে ফাইনালে পৌঁছে দেন আন্দ্রে রাসেল। অন্যপ্রান্তে ২৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ওপেনার শফিকুল্লাহ গাফারি ও তিন নম্বরে নামা তৌহিদ হৃদয়। কুমিল্লার পেসার আন্দ্রে রাসেলের বলে শফিকুল্লাহ ক্যাচ আর হৃদয় ফেরেন রান আউট হয়ে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফিরে যান জাকির হাসানও। ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিলেট। এরপর সবাইকে চমকে দিয়ে পাঁচ নম্বরে নামেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গ দিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন তিনি।
দলীয় ৭২ রানে ফেরার আগে মাশরাফি ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। অধিনায়ক ফেরার পর মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে ফিরে যান শান্ত। এই ম্যাচে ২৯ বলে ৩৮ রান করেছেন তিনি।
এরপর একমাত্র মুশফিকুর রহিম ছাড়া আর কেউই উইকেটে থিতু পারেননি। রায়ার্ন বার্লও এদিন ব্যর্থ। দলীয় ১১৭ রানে ব্যক্তিত ২২ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক ফেরার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র আট রানে শেষ তিন উইকেট হারিয়ে ১৭.৪ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট।