লিটন, খুশদিল ও জাকিরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৭৭ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জেতা তো দূরের কথা কুমিল্লার বোলারদের বোলিং তোপে লড়াইও করতে পারেনি। একপেশে ম্যাচে রংপুরকে ৭০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রিজওয়ান ফিরলেও পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৬৩ রান। ফেরার ২১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান।
এরপর তিন নম্বরে নেমে দ্রুত ফিরে যান সুনীল নারাইন। রংপুরের পেসার রিপন মন্ডলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিন বলে আট রান করেন তিনি।
ব্যাট হাতে শুরুতে ধীরসুস্থে খেললেও সময়ের সাথে খোলস ছেড়ে বের হন লিটন। দলীয় ১০১ রানে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। যেখানে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন লিটন।
লিটন ফেরার পর মাত্র চার রানের ব্যবধান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে হারায় কুমিল্লা। ২০ বলে এক ছয়ে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৪০ বলের জুটিতে কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে তোলেন ৭২ রান।
ইনিংসের ১৯.৫ বলে আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে তিন ছক্কায় ৩৪ রান করেন জাকের। অন্যপ্রান্তে ২০ বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত ছিলে খুশদিল। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর। কুমিল্লার বোলারদের তোপের মুখে পাওয়ার প্লের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
দলীয় ১২ রানে নাঈম শেখকে জাকের আলির ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম। আট রানের ব্যবধানে আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও আউট হন। দলীয় ২৪ রানে টম কোহলারকেও তানভির ইসলাম ফিরিয়ে দিলে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর।
সাত রানের ব্যবধানে আন্দ্রে রাসেলের বলে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহা ন ফিরলে আরও চাপ বেড়ে যায় রংপুরের। ৩১ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন রহমুতউল্লাহ গুরবাজ ও শামিম পাটোয়ারি।
দলীয় ৫৭ রানে মোস্তাফিজের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের উড়ন্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন শামিম। আর এতে ভেঙে যায় ২৬ রানের প্রতিরোধ গড়া জুটি।
অন্যদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়ছিলেন গুরবাজ। কিন্তু দলীয় ৭৪ রানে তাকে ফিরিয়ে রংপুরের আশার প্রদীপ নিভিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে মোস্তাফিজকে সহায়তা করেন ফিল্ডার তানভীর।
দলীয় ৯৬ রানে আজমতউল্লা ওমরজাই ফেরার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং লাইনআপ। ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে অলআউট হয় রংপুর। ফলে ৭০ রানের বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয় দলটির।