মালদ্বীপে এএফসি কাপ খেলতে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ৫ ফুটবলার ৬৪ বোতল মদ নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে। এরপর থেকেই মদকাণ্ডে তোলপাড় দেশের ফুটবল অঙ্গন। মদ নিয়ে আসার কারণে ক্লাব তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে। এবার নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এই ৫ ফুটবলারের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাফুফে। তাদের দলে নিতে চান না বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও।
মালদ্বীপ থেকে মদ নিয়ে এসেছেন তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো, তৌহিদুল আলম সবুজ, শেখ মোরসালিন ও রিমন হোসেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) মতিঝিলের বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভা। সেখানে অনির্ধারিতভাবেই আলোচনায় আসে ৫ ফুটবলারের মদ নিয়ে দেশে প্রবেশ কারার ঘটনা।
মিটিং শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি জানান ক্লাবের পর এবার জাতীয় দল থেকেও নিষিদ্ধ হতে পারেন এই ৫ ফুটবলার। তাদের যদি জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও থাকছেন না তারা।
সালাউদ্দিন বলেন, “ভাবতেও পারছি না যে তারা এমন কাণ্ড করতে পারে। আমি মনে করি, তাদের জাতীয় দলে নেওয়া উচিত নয়। কোচের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনিও সম্ভবত দলে নিচ্ছেন না এই ৫ ফুটবলারকে।”
সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপে মালদ্বীপের মালেতে খেলতে গিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল বসুন্ধরা কিংসে খেলা জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের বিরুদ্ধে। এবার জানা গেল, এএফসি কাপের ম্যাচ শেষে মালদ্বীপ থেকে ফেরার পথে ব্যাগে করে ৬৪ বোতল মদ এনেছিলেন অভিযুক্ত এই পাঁচ ফুটবলার।
মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্ট অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছিল বসুন্ধরা কিংস। ১৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচ খেলে পরদিন ঢাকায় ফিরেছিল দল। বিমানবন্দরে তাদের কাছে মদ পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, “পাঁচ খেলোয়াড় শৃঙ্খলা ভেঙেছে। এ জন্য তাদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির অধিকতর তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে কে কতটা দোষী, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”