চলতি ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বেশ কিছু ম্যাচে ভিএআরের সাহায্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ভিএআরের মাধ্যমে যে পেনাল্টি পায়, সেটা নিয়ে চলছে কঠোর সমালোচনা। যেখানে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড ম্যাচে সমতা আনে। আর গোলটি পুরো ম্যাচের গতি পরিবর্তন করে ফেলে।
জার্মান রেফারি হের জয়ার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে ছয় মাস নিষিদ্ধ ছিলেন। আর তাকেই মাঠে দায়িত্ব দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। খেলা শুরুর আগে ইংলান্ডের বেলিংহ্যাম সহ অনেকেই কিন্তু এই রেফারির সমালোচনা করেছিলেন। অথচ, সেই রেফারিই ইংল্যান্ডকে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি উপহার দিলেন। যা এবারের আসরে সবচেয়ে হাস্যকর একটি সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘ভিএআর’ প্রযুক্তি ফুটবলে আসার পর থেকেই এটা নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করছে বিভিন্ন ফুটবলার থেকে কোচ সবাই। কারোর কাছে এটা ফুটবলের জন্য দরকারি, কারোর কাছে এটি ফুটবলের সৌন্দর্য নষ্টের সামিল।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকায় ভিএআরে দেওয়া সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক এবং এটি খেলার সৌন্দর্য নষ্ট করছে বলে জানান দলটির কোচ রোনাল্ড কোয়েম্যান।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে হ্যারি কেইন গোলমুখে শট নিলে সেটি উপর দিয়ে চলে যায়। তবে শট নেওয়ার পর কেইনের পায়ের সঙ্গে পা লাগে ডাচ ডিফেন্ডার ডামফ্রিসের। এতোটাই হালকা ছিল বিষয়টি যে রেফারি ফাউলের সিদ্ধান্তও নেননি। কিন্তু তিনিই আবার ভিএআরের মাধ্যমে পরে পেনাল্টির মতো বড় সিদ্ধান্ত দেন। ফুটবল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাংবাদিক ও কর্তা ব্যক্তিদের চোখেও এটি পেনাল্টির মত ফাউল ছিল না।
ইংল্যান্ড অবশেষে বিদেশের মাটিতে প্রথম বারের মতো কোন বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেছে।