সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২৫ রানের, দুই অঙ্কের ঘরে পৌছাতে পারেননি আট ব্যাটার! চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিং লাইনআপের করুণ অবস্থা বোঝাতে এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার রেজাউর রহমান রাজার রাজকীয় বোলিং তোপে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে মাত্র ৮৯ রানের গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রাজা শিকার করেছেন চার উইকেট। এছাড়া মোহাম্মদ আমির দুই ও মাশরাফি-কলিন অ্যাকারম্যান নিয়েছেন সমান একটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বন্দর নগরীর দলটি। রান আউট হয়ে ফিরে যান ওপেনার মেহেদী মারুফ। মাত্র সাত রানের ব্যবধানে চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার রাসুলিকে ফিরিয়ে দেন সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।
বিপিএলে এবারই প্রথম অধিনায়কত্ব করছেন চট্টগ্রামের শুভাগত হোম। তবে অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে মাত্র এক রানেই ফিরে যান তিনি।
অধিনায়ক ফেরার পর আফিফ হোসেনকে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আল আমিন হোসেন। দলীয় ৪৪ রানে তিনি ফিরে গেলে ভেঙে যায় তাদের প্রতিরোধ।
এরপর তিন রানের ব্যবধানে উইকেটরক্ষক ব্যাটার উসমান খানও ফিরে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম। নতুন ব্যাটার হিসেবে ব্যাটিং করতে এসেছেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিপিএল খেলতে আসা উন্মুক্ত চাঁদ।
তবে বিপিএলে শুরুটা ভালো হলো না তার। দলীয় ৬২ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ৫ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন রাজা। এরপর ১২ রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় চলে যায় চট্টগ্রাম।
উইকেটের একপ্রান্ত সামলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আফিফ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৬৭ রানে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ফেরার পর ৭৪ রানে ফিরে যান তিনিও।
এরপর শেষের দিকে ব্যাট হাতে আর কেউ ঝড়ো ইনিংস খেলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে থেমেছে চট্টগ্রামের ইনিংস।