যেন এলেন দেখলেন আর জয় করলেন! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে প্রথমবার মাঠে নেমেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রংপুর রাইডার্সের আফগান ক্রিকেটার রহমতউল্লাহ গুরবাজ। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাঈম শেখের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পেয়েছিল রংপুর।
এরপর গুরবাজ ও সোহানের ব্যাটে অনায়াসে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে দলটি। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের জয় এসেছে সাত উইকেটের ব্যবধানে। চলতি বিপিএলে এটা রংপুরের অষ্টম জয়। আর এই জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলেরদুইয়ে নম্বরে উঠে এসেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। একে একে ফিরে যান উসমান খান, মেহেদী মারুফ ও ম্যাক ও’দাউদ।
পাওয়ার প্লে শেষে উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিল থামেনি। ব্যাট হাতে ঝড়ের আভাসা দেওয়া আফিফ ফিরেছেন ইনিংসের সপ্তম ওভারে যখন তার নামের আট বলে ১৫ রানের ইনিংস।
এরপর কার্টিস ক্যাম্পারও দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা জিয়াউর রহমান আর তৌফিখ খান মিলে প্রাথমিক চাপ সামলে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে ইফতিখার ফিরলে ভাঙে তাদের ৩৮ রানের জুটি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৮ রানের ইনিংস।
সঙ্গী হারানোর পর দ্রুত বিদায় নেন জিয়াউরও। ফেরার আগে চট্টগ্রামের আজকের অধিনায়ক খেলেছেন ২৫ বলে ২ চার ও তিন ছক্কায় ৩৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
এরপর শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয়ের ১৭ এবং বিজয়কান্তের ১১ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাঈম শেখের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় রংপুর। আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৩৮ রানে ফেরার সময় নাইমের পাশে ছিল ১২ বলে ২০ রানের ইনিংস।
অন্যপাশে কিছুটা ধীরে-সুস্থে খেলা রনি তালুকদার ফেরেন দলীয় ৫৮ রানে। এ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে পাঁচ চারে ২৮ রানের ইনিংস।
এরপর অধিনায়ক সোহান ও গুরবাজ মিলে রংপুরের জয়ের রাস্তা তৈরি করেন। দলীয় ১০৬ রানে গুরবাজকে ফেরান চট্টগ্রামের স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ফেরার আগে ৩০ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন এই আফগান।
ইংলিশ ব্যাটার টম কোডলিকে নিয়ে বাকি পথ নির্বিঘ্নে পাড়ি দেন সোহান। শেষ পর্যন্ত সোহান ১৫ রানে ও ট্ম ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।