বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হারের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং কিংস। এতে চলতি আসরে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট পেল চিটাগাং।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনার উসমান খানের সেঞ্চুরিতে ভর করে রেকর্ড ২১৯ রানের পুঁজি পেয়েছিল চট্টগ্রাম। বড় টার্গেট তাড়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দুর্বার রাজশাহী। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১১৪ রানেই। আর চিটাগং কিংস তুলে নিয়েছে ১০৫ রানের বিশাল জয়।
দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ হারিস ও সাব্বির হোসেন। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারে সাব্বির হোসেনের বিদায়ে মাত্র ৯ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান আরাফাত সানি। আরাফাত সানির বলে পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। তার বিদায়ে ভাঙে ৩১ রানের জুটি।
এনামুল হক বিজয়ের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিসও। ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৫২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী।
৫২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন আকবর আলী ও ইয়াসির আলী রাব্বি। এই জুটিতে ভর করে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রাজশাহী। তবে দলীয় ৮৩ রানে আকবর আলী সাজঘরে ফিরে গেলে ৩১ রানে ভেঙে যায় এই জুটি।
আকবর আলীর বিদায়ের তাসের ঘরের মতো ভেঙে যেতে থাকে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইন-আপ। আকবর আলীর বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির আলী রাব্বি, রায়ান বার্ল, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মুরাদ ও সোহাগ গাজী।
তাদের বিদায়ে রাজশাহী অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১১৪ রানেই। আর চিটাগং কিংস তুলে নিয়েছে ১০৫ রানের বিশাল জয়।