ইকুয়েডরের খেলোয়াড় বায়রন কাস্তিয়োর নাগরিকত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিশ্বকাপে জায়গা পেতে ব্যর্থ হওয়া চিলি। চিলির অভিযোগ ছিল ভুয়া জন্ম সনদ ব্যবহার করেছে কাস্তিয়ো। তার জন্ম ইকুয়েডরে নয় বরং কলম্বিয়ায়।
এ বছরের মে মাসে চিলি ফিফার কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানায়। জুনে কাস্তিয়োকে ফিফা ইকুয়েডরের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলে চিলির আবেদন অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে বিশ্বকাপ খেলতে ইকুয়েডরের আর কোনো বাধা থাকে না। আবারও আলোচনায় আসে কাস্তিয়ো। এবার একটি স্বীকারোক্তিমূলক অডিও চিলি প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) চিলির আবেদন খারিজ করে দেয় ফিফা।
ফিফার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইন অনুসারে কাস্তিয়ো ইকুয়েডরের নাগরিক। তবে চিলির ফুটবল ফেডারেশন বলেছে যে তারা ফিফার রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে চায়। আপিল করলে বিশ্বকাপের আগে একটি জরুরি শুনানি ও রায় দেওয়া হতে পারে।
চিলি ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জর্জ ইউঙ্গে বলেন, “এটি ফুটবলের জন্য এবং সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস রাখার ক্ষেত্রে একটি অন্ধকার দিন। ফুটবল বিশ্ব শুনেছে যে, একজন খেলোয়াড় ইকুয়েডরকে ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা পেতে সাহায্য করেছে। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি কলম্বিয়ায় জন্মেছিল এবং তিনি মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে ইকুয়েডরের পাসপোর্টধারী। আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ আদালতে যাবো।”
চিলির ফুটবল ফেডারেশনের আইনজীবী এডুয়ার্ডো কার্লেজো বলেন, “একজন আইনজীবী হিসেবে আমি আমার পুরো জীবনে এমন অবিচার দেখিনি।”
ফিফা যদি ইকুয়েডরের হয়ে কাস্টিয়োর খেলা আটটি ম্যাচ বাতিল করত, তাহলে চিলি দক্ষিণ আমেরিকার বাছাই পর্বে গ্রুপে চতুর্থ স্বয়ংক্রিয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূলমঞ্চে জায়গা পেত।