সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে সংবর্ধনা নেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলটি। এরপর বেলা ১১টার দিকে খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
যমুনায় সংবর্ধনা নিতে যাওয়া ২৩ ফুটবলারের সঙ্গে রয়েছেন দলের ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা এবং প্রধান কোচ পিটার বাটলারও। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সামনে ট্রফি, সেরা খেলোয়াড় ও সেরা গোলরক্ষকের উপস্থাপন করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সাক্ষরিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের একটি জার্সি প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দেয়া হয়।
অবশ্য, নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ছিল ৩২ জনের। ২৩ জন খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ৯ জন ছিলেন কোচিং স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তা। এর মধ্যে হেড কোচ ও ম্যানেজার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এলেও গোলরক্ষক কোচ, সহকারী কোচ, ফিজিও এবং মিডিয়া অফিসার উপস্থিত হতে পারেননি অনুষ্ঠানে।
প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং বাফুফের নবনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল। অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি নারী ফুটবলারদের অর্থ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিবি।
তাছাড়া নেপাল থেকে দেশে ফেরার পর ছাদখোলা বাসের মাধ্যমে রাজসিক সংবর্ধনা দিয়ে তাদের বরণ করে নিয়েছে বাফুফে। বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নেয়া হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। শিরোপা জয়ের পরপরই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে নারী দলকে।