বাংলাদেশের পেস বোলারদের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। স্লিপে চারজন ফিল্ডার আছেন, গালিতে একজন। তবে আজ মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে দ্বিতীয় দিনে এমনই ঘটেছে। অধিনায়ক লিটন বোলারদের জন্য এভাবেই মাঠ সাজিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনা যে ঠিক তা প্রমাণ করে বোলাররা সাফল্যও এনেছে দিয়েছে। এদিন সুইং আর গতিতে আফগান ব্যাটারদের ক্রিজে দাঁড়াতেই দেয়নি পেসার ইবাদত হোসেন। সবুজ উইকেটে ছন্দে ছিলেন এই গতি তারকা।
আফগানদের মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে শরিফুল, তাসকিন, ইবাদতের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাসমতউল্লাহ শাহিদীর দল। ১০ উইকেটের মধ্যে ৬ টি উইকেটই নিয়েছে ইবাদত-শরিফুল জুটি।
মিরপুরে সবুজ উইকেটে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন। ম্যাচে এমন পারফর্মের দারুণ খুশি এই পেসার। ভবিষ্যতেও দেশের মাঠে এমন উইকেট চান এই গতি তারকা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই পেসার বলেন, “আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে রানও তুলেছি অনেক। আবহাওয়া মেঘলা ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল , যত দ্রুত পারা যায় ব্যাটারদের আউট করা।”
সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা বলেন ইবাদত হোসেন। তিনি বলেন, “ভালো খেললে ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। আমরা ভালো খেলেছি তাই জয়ের ব্যাপারেও আশা করছি।”
নিজের বোলিংয়ের সাফল্যের ব্যাপারে এই পেসার বলেন, “আগে দেখা যেন আমি ইনসুইং, আউটসুইং এরকম ওভারে দুই/তিনটা বল বাউন্সার করতামতা। ব্যাটারকে সেটআপ করে বোলিং করা আস্তে আস্তে গ্রাব করার চেষ্টা করছি।"