নারীদের ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা বাড়ছে আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে। তার প্রভাব পড়েছে সাফের নির্বাহী কমিটির সভাতেও। প্রথমবারের মতো উইমেন’স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা সাফ। পুরুষদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আগামী জুন-জুলাইয়ে আয়োজনের ‘প্রাথমিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
নেপালে বুধবার হয়েছে সাফের নির্বাহী কমিটির সভা। সভা শেষে সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ছেলেদের এবারের সাফ আয়োজন করতে চান তারা। তবে ‘বিকল্প’ পথ ভেবে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের টুর্নামেন্টের ক্যালেন্ডারের অুনমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমরা নতুন আরেকটি টুর্নামেন্ট করতে চাই, সেটা সাফ উইমেন’স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ, সেটার অনুমোদন দিয়েছি এবং এ বছর এটা হবে। এছাড়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও এ বছর হবে; এটার সম্ভাব্য তারিখ আমরা ঠিক করেছি ১৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত।’
আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘খুব শিগগিরি, এ মাসের মধ্যে আমরা সব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকদের সাথে বসে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এই টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত করব। কোনো কারণে যদি এবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে না হয়, তাহলে এ বছরের আসরটি সেন্ট্রালাইজড (নির্দিষ্ট একটি দেশে) হবে। তবে আমরা চাই, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে করতে এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ছেলেদের সাফের সবশেষ আসর বসেছিল ২০২৩ সালে, ভারতের বেঙ্গালুরুতে। ‘অতিথি’ দল কুয়েতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল স্বাগতিক ভারত। ওই আসরে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথচলা থেমেছিল কুয়েতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে।
২০০৩ সালে প্রথম এবং সবশেষ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল বাংলাদেশ। ছেলেদের আসরে রেকর্ড ৯বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
মেয়েদের ফুটবলে অবশ্য গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ সাফল্য ঈর্ষণীয়। ভারতের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হন সাবিনা-মনিকারা। ২০২২ ও ২০২৪ দুইবারই স্বাগতিক নেপালকে হারায় বাংলাদেশ।
মেয়েদের মতো ছেলেদেরও প্রথমবারের মতো সাফের দলগুলোর ক্লাব পর্যায়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের একটা পথরেখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সভায়। এই প্রতিযোগিতাও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের পরিকল্পনা জানিয়েছেন হেলাল।
হেলাল বলেন, ‘সাফ ক্লাব কম্পিটিশন আগামী বছর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরই এটি হবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এই টুর্নামেন্টের ফরম্যাটও আমরা ঠিক করেছি, আটটি দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে। দুই গ্রুপে খেলা হবে। এটাও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে।’