১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসর বসেছিল। তখন তার নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই আসরের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীকালে নাম পরিবর্তন করা হয়।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। ভারত টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে রাজি নয় রাজনৈতিক কারণে। পরবর্তীতে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
ভারতের হাইব্রিড মডেল প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পরে শর্তসাপেক্ষে ভারতের প্রস্তাব মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শর্ত মানতে রাজি হয়নি ভারতও। ফলে এখনও ঝুলে আছে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ভাগ্য। এমনকি সূচি প্রকাশ করাও সম্ভব হয়নি।
তবে এসবের মধ্যেও থেমে নেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশ্বভ্রমণ। যার ধারাবাহিকতায় ট্রফিটি এসেছে বাংলাদেশে। সোমবার দুপুর একটার কিছু পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানরন্দরে অবতরন করে ট্রফি।
ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু হয় আয়োজক পাকিস্তান থেকে। গত ১৬ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রফিটির অবস্থান ছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে।
স্বাগতিকদের পর্ব শেষ করে ট্রফিটি আফগানিস্তানে যায় গত ২৬ নভেম্বর। দুই দিনের সফর শেষ হয় ২৮ নভেম্বর। সোমবার শুরু হলো ট্রফির বাংলাদেশ সফর। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফিটি বাংলাদেশেই অবস্থান করবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাংলাদেশে প্রথম জনসমক্ষে দেখা যাবে মঙ্গলবার, রাখা হবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। এদিন সৈকতের লাবণী পয়েন্টে (সীমান্ত সম্মেলেনকেন্দ্র ঊর্মির সামনে) প্রদর্শন করা হবে ট্রফিটি। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রফিটি সেখানে রাখার পর ঢাকায় নিয়ে আসা হবে।
ঢাকায় অবস্থানরত উৎসাহীরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখতে পাবেন ১২ ডিসেম্বর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। সেদিন জনসাধারণের দর্শনের জন্য ট্রফি রাখা হবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পরদিন ১৩ ডিসেম্বর ট্রফি যাবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রফি সেখানে রাখা হবে।
এই প্রদর্শনী জাতীয় পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, ক্রিকেট কর্মকর্তা, সংগঠক এবং সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।